1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন

করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন চিকিৎসক দম্পতি

  • সময় : মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০২০
  • ৩৪০

করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন চিকিৎসক দম্পতি এ এখন এ লড়াইয়ে অন্যদের পাশে দাঁড়াতে চান তারা। এ চিকিৎসক দম্পতি করোনায় আক্রান্ত রোগীর জন্যে প্লাজমা দিতেও প্রস্তু ত বলে জানিয়েছেন।
তারা দুজনেই কক্সবাজারের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকৎসক। হাসপাতালে সেবা দিতে গিয়ে প্রথমে স্ত্রী ফাহিম তাসনুভা এবং পরে স্বামী সুলভ আচার্য আক্রান্ত হন।চিকিৎসা শেষে গত ১৬ মে দুজন পুরোপুরি সুস্থ হন। দুজনের দ্বিতীয়বারের মতো করোনা নেগেটিভ আসে। নিজেদের সুস্থতার পর এখন তারা অন্যান্য রোগীর সুস্থতার জন্য প্লাজমা দিতে প্রস্তুত।

ফাহিম তাসনুভা বলেন, দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছি। এখন করোনা রোগীর সেবায় আবার কাজে যোগ দেব। যদি চট্টগ্রামে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয় তাহলে আমরা দুজন প্লাজমা দেব। এই এন্টিবডি অন্য রোগীদের কাজে লাগবে। 
সুলভ বলেন, আমি বাসায় চিকিৎসা নিয়েছি। উপসর্গ ছিল মৃদু। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছি। এখন চাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে। প্লাজমা দিয়ে অন্যান্যদের সাহায্য করতে। প্লাজমা দেওয়াটা রক্ত দেওয়ার মতো একটা ব্যাপার। এতে কোনো ক্ষতি নেই।
গুরুতর রোগীদের প্লাজমা পদ্ধিতে চিকিৎসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ জন্য ঢাকায় করোনাজয়ী রোগীদের প্লাজমা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তাদের প্লাজমায় এন্টিবডি থাকে। এই এন্টিবডি অন্য রোগীর শরীরে প্রবেশ করালে তাতে ভালো ফল আসছে বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বলা হচ্ছে।
এদিকে করোনাভাইরাস থেকে কীভাবে নিজেকে এবং স্বজনদের দূরে রাখা যায় তাও বলেছেন এই চিকিৎসক দম্পতি।
তারা বলেন, তৃতীয় বিশ্বে মানুষ বিভিন্ন ছোঁয়াচে রোগের সঙ্গে সংগ্রাম করে আসছে। তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তার মানে এটা নয় যে কেউ করোনা আক্রান্ত হবে না। যদি আক্রান্ত হয় তাহলে ভাইরাসটির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে। ভাইরাসটির খারাপ দিক হচ্ছে সেটা দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। তাই তাকে বংশবৃদ্ধিতে বাধা দেওয়ার জন্য কিছু কাজ করতে হবে।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর নাক এবং মুখ দিয়ে গরম ভাব নিতে হবে। পাশাপাশি গরম পানি, আদা চা, লং এলাচি, রসুন ইত্যাদি খেতে হবে। এতে করে গলায় থাকা ভাইরাসটি বংশবৃদ্ধিতে বাধা পাবে।
উপসর্গ দেখা দিলে নিজেকে অন্যদের কাছ থেকে আলাদা করে রাখার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি দ্রুত পরীক্ষার ওপরও জোর দেন। দ্রুত শনাক্ত হলে সংক্রমণ ঝুঁকি কমে আসবে বলে জানান তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪