নিজেস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশক নিধন অভিযানে আমি কোথায় যাব, কাউকে কিছুই জানাবো না। আগে থেকে জানিয়ে গেলে সেখানে সবকিছু পরিষ্কার করা থাকে। তাই প্রকৃত অবস্থা দেখতে কাউকে না জানিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আকস্মিক পরিদর্শনে যাবো।
শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মশক নিধন অভিযান আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি কয়েকটি বহুতল ভবনের বেইজমেন্ট ঘুরে দেখেন। তিনটি ভবনের বেইজমেন্টে গিয়ে প্রতিটিতেই গাড়ি ধোয়ার পর জমে থাকা পানিতে এডিস মশার অসংখ্য লার্ভা দেখতে পান মেয়র। জীবন্ত মশাও সেখানে ওড়াউড়ি করছিল।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ভবনের ভেতরে জমে থাকা পানি সিটি কর্পোরেশন পরিষ্কার করবে না। এসব ভবনে আমাদের কর্মীরা ঢুকতে পারে না। শুধু এই এলাকা না ঢাকার অনেক ভবনে, বাড়িতে আমাদের কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অন্যান্য জায়গার চেয়ে বাসা বাড়ির ভেতরে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা বেশি জন্মে। গবেষণায় উঠে এসেছে বেজমেন্টে যেখানে গাড়ি রাখা হয় ও গাড়ি ধোয়া হয় সেখানে প্রায় ৪৮ শতাংশ এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই ভবনের ভেতরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব ভবন মালিককেই নিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই আমরা মশা নিধনে মাঠে কাজ করছি। নিয়মিত লার্ভিসাইডিং ও এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা করছি। প্রচারাভিযানে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটের সদস্যদের যুক্ত করেছি। গত মাসে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মসজিদ-মাদ্রাসার ইমাম ও খতিবদের সঙ্গে এবং স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক-অধ্যক্ষের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা করেছি। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। বাসা বাড়ির ভেতরে লার্ভার দায়িত্ব আমাদের কর্মীরা নেবে না।
তিনি বলেন, আমি মাঠে আছি, আমার সব কাউন্সিলর মাঠে থাকবে। আমি বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নেতা, সোসাইটির প্রতিনিধিদের আহ্বান করছি, আপনারা নিজেদের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। সবাই সহযোগিতা করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধন অভিযানে অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কেএম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান প্রমুখ।
বা বু ম / অ জি