নিজেস্ব প্রতিবেদক
মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের প্রথম দিনে বিভিন্ন স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৭টি মামলায় মোট ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
শনিবার (০৮ জুলাই) ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় এডিসের লার্ভা ধ্বংসে অভিযানে এসব জরিমানা করা হয়।
মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় পরিদর্শনে লার্ভা পাওয়ায় জাপান গার্ডেন সিটিকে ৫ লাখ টাকা, পিসিকালচার হাউজিংয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে ৫ লাখ টাকা ও অন্য তিনটি ভবনে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়াও অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা ৪, ৬ ও ৮ নম্বর সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ২টি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় পৃথক মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন নুরের চালা এলাকা এবং অঞ্চল ১০ এর আওতাধীন আফতাবনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। নুরের চালায় ২টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া আফতাবনগরে দুটি বাড়ি অভিযান চালিয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ৮টি মামলায় ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসেন জানিয়েছেন, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। পুরো জুলাই মাসে এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধন অভিযানে অংশ নেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান প্রমুখ।
বা বু ম / অ জি