বাংলা চলচ্চিত্রের তিলোত্তমা নায়িকা দিতি পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন চার বছর হয়েছে। কিন্তুু আজও তার চলচ্চিত্র দেখার জন্য দর্শকরা মুখিয়ে থাকেন। চলচ্চিত্র প্রেমীরা তাঁকে ঠিকই মনে রেখেছেন। মৃত্যুর চার বছর পরও তাঁর অভিনীত সিনেমা দেখার জন্য দর্শক সিনেমা হলে ভীড় জমায়।
ড্রইং রুমে টেলিভিশনের সামনে বসে, এতেই প্রমাণ করে দিতি এখনো কতটা জনপ্রিয় । দিতি অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ” এ দেশ তোমার আমার” মুক্তির জন্য সামনের সপ্তাহে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হবে। এই সিনেমায় দিতি ছাড়াও আরো অভিনয় করেছেন, মনোয়ার হোসেন ডিপজল,জায়েদ খান।এই ছবির পরিচালক এফ আই মানিক জানান,দীর্ঘদিন পরে হলেও ছবিটি সেন্সরে জমা দেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।এফ আই মানিক বললেন, ‘বিভিন্ন জটিলতার কারণে ছবিটি শেষ করতে দীর্ঘ সময় লেগে গেল। এবার সব প্রস্তুতি নেয়া শেষ। আর বিলম্ব হবে না। আমার ইচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই সারা দেশের সিনেমা হল চালু করা হবে তখন ছবিটি মুক্তি দিতে চাই। ছবিটি দেখলে দর্শকরা নতুন করে বুঝবেন কতটা শক্তিশালী অভিনেত্রী ছিলেন দিতি।
তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’দিতি মারা যাওয়ার কয়েক মাস আগেই ছবিটির শুটিং শেষ করা হয়। এটি ৩৫ মিলিমিটারে শুট করা হয়েছিল। এখন মুক্তি দিতে গেলে সেটিকে আবার ডিজিটালে ট্রান্সফার করতে হয়। এসব কারণেই ছবিটি শেষ করতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে।দিতি ২০১৬ সালের ২০ মার্চ মারা যান। কিন্তু চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলে দর্শক আবার নতুন করে দিতিকে দেখতে পাবেন। একজন শিল্পী বেঁচে থাকেন তার কাজের মাধ্যমে। এই ছবিটি খুব যত্ন করে তৈরি করা হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক এফ আই মানিক।১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হন দিতি।
তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। যদিও ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আমিই ওস্তাদ’। দিতির মুক্তি প্রাপ্ত ছবির সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।চলচ্চিত্র পাশাপাশি দিতি নিয়মিত নাটক ও বিজ্ঞাপন চিত্রে অভিনয় করতেন।