স্পোর্টস ডেস্ক
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষ ওমানকে পেয়ে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দলীয় একশ রানের আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে গুটিয়ে দিয়ে তারা বড় জয় পেয়েছে। অল্প রানের মধ্যে প্রতিপক্ষকে বেধে ফেলায় লঙ্কানদের বেশ পারদর্শীতা রয়েছে। ৫০ ওভারের ম্যাচে এখন পর্যন্ত কোনো দলের সর্বনিম্ন স্কোরের যে তালিকা, তাতে প্রথম পাঁচটির তিনটিই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সবমিলিয়ে তারা সর্বোচ্চ ১৯ বার প্রতিপক্ষকে এমন ধবল-ধোলাই করেছে।
জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছে ১০টি দল। তাদের মধ্যে টেবিলের শীর্ষে থাকা দুটি দল ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেবে। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে লঙ্কান উড়ন্ত পারফরম্যান্স করছে। প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর আজ উড়িয়ে দিয়েছে ওমানকে।
এই ম্যাচের জয়ে শ্রীলঙ্কা জায়গা করে নিয়েছে রেকর্ড বইয়ে। কোনো উইকেট না হারিয়েই ওমানের দেওয়া ৯৯ রানের টার্গেট টপকে যায় লঙ্কানরা। একইসঙ্গে তাদের হাতে ছিল আরও ২১০ বল। তবে এমন বড় জয়েও তারা প্রথম ৩০-এর মধ্যেও নেই। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৭৭ বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড ইংল্যান্ডের। ১৯৭৯ সালে ম্যানচেস্টারে কানাডার বিপক্ষে এই জয় পেয়েছিল ইংলিশরা। তবে একইসঙ্গে সর্বোচ্চ বল এবং উইকেট হাতে রেখে জয়ে রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের। ২০০৭ সালে কুইন্সটনে বাংলাদেশের বিপক্ষে কিউইরা ১০ উইকেট এবং ২৬৪ বল হাতে রেখে জিতেছিল।
এদিন বুলাওয়েতে ওমান আগে ব্যাটিং করে ৩০.২ ওভারে আটকে যায় ৯৮ রানেই। ১৫ ওভারে বিনা উইকেটেই তাদের দেওয়া লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেল ওমান, তাও আবার বিধ্বস্ত হয়ে। ওমানের ব্যাটিং লাইনআপ এভাবে ধসিয়ে দেওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও লাহিরু কুমারার। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেট নিলেন হাসারাঙ্গা। আগের ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২৪ রানে ৬ উইকেট নেওয়া এই লেগ স্পিনার আজ ৫ উইকেট নেন মাত্র ১৩ রান খরচ করে। তার সঙ্গে আজ লাহিরু কুমারা ৩ উইকেট নেন।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ব্যাটিং করতে নেমে দিশেহারা ওমান মাত্র ২০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। এরপর পঞ্চম উইকেটে যতিন্দর সিং-আয়ান খানের ৬৪ বলে ৫২ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ওমান। তবু ১০০ করতে পারেনি তারা। ২৬ রানেই শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০.২ ওভারে ৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ওমান।
অল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সেটিকে পাত্তাই দেননি দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুণারত্নে। করুণারত্নে এ নিয়ে টানা চতুর্থ ফিফটি পেয়েছেন। আজ ৫১ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। নিশাঙ্কা অপরাজিত ছিলেন ৩৯ বলে ৩৭ রান করে।
এ নিয়ে ১০ উইকেট ও ২০০ এর ওপর বল হাতে রেখে জয়-এই ‘ডাবলের’ রেকর্ড শ্রীলঙ্কা করেছে তিনবার। এর আগে ২০০৩ ও ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১৭ ও ২২৯ বল হাতে রেখে জিতেছিল লঙ্কানরা। বাংলাদেশেরও এমন ডাবলের রেকর্ড রয়েছে। এ বছরের মার্চে সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২২১ বল হাতে রেখে টাইগাররা ১০ উইকেটের জয় পেয়েছিল।
বা বু ম / অ জি