ভোলা সংবাদদাতা
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। এরই মধ্যে ভোলায় ছোট, বড় ও মাঝারি গরুর সমাহারে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার ৭ উপজেলায় ৭৩টি পশুরহাট বসেছে। হাটে ব্যাপারীদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের গরু পছন্দের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। গরু-ছাগলের আকার অনুযায়ী দরদাম করছেন ক্রেতারা।
ভোলার বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেকে গরু-ছাগল দরদাম করেছেন। আগের চেয়ে পশুর দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তবে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে অনেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির জন্য জেলার ৭ উপজেলায় সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার ৪০০ পশু। বিপরীতে মজুত রয়েছে ৯০ হাজার ৯৬টি পশু। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৫৮টি গরু, ছাগল ২৬ হাজার ২০৫, মহিষ ৫ হাজার ৫৬০ ও ভেড়া রয়েছে ৩ হাজার ২৭৩ টি। জেলার ২ হাজার ৮৭৩টি খামারে ৩৭ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। বাকিগুলো পারিবারিকভাবে পালন করা হচ্ছে। কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করার জন্য গঠন করা হয়েছে ২১টি মেডিকেল টিম।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশার খামারি তছির বলেন, আমার খামারের ৮টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। আজ তিনটি গরু ইলিশা হাটে বিক্রি করতে আনছি। এখানে বড় বড় পশুর হাট বসলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। ফলে বাধ্য হয়ে গরু ফিরিয়ে নিতে হচ্ছে।
হাটে গরু কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, কোরবানির জন্য মাঝারি গরু খুঁজছি। এ বছর গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু কোরবানি করতে হবে তাই বেশি দাম দিয়েই গরু কিনতে হবে। তারপরও হাটে এসে দেখছি একটু কমে পেলে কিনে নিবো।
বাপ্তা এলাকার ডাক্তার আসিফ বলেন, হাটে কোরবানির গরুর সংখ্যা অনেক। পছন্দ মতো সাধ্যের মধ্যে গরু কিনতে পেরে খুশি।
রাজাপুর এলাকার কৃষক লোকমান বলেন, বিক্রির জন্য গরু হাটে নিয়ে যাই। দাম কম হওয়ায় আবার ফিরিয়ে আনি। গত তিন দিন ধরে এভাবে হাট-বাড়ি আনা-নেওয়া করছি।
এদিকে ভোলার পশুর হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সে জন্য জেলা পুলিশ নজরদারি করছে। এছাড়া ভোলার প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে সহায়তার প্রচার করছেন কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বা বু ম / অ জি