রাজশাহী সংবাদদাতা
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী পাল্টাপাল্টি বোমা হামলার অভিযোগ করেছেন। কাউন্সিলর প্রার্থী মতিউর রহমান অভিযোগ করেন, জহিরুল ইসলাম ওরফে রুবেলের নেতৃত্বে তাঁর মিছিলে বোমা হামলা করা হয়েছে।
এদিকে মতিউর রহমানের মিছিল থেকে তাঁর বাড়িতে বোমা হামলা করা হয়েছে অভিযোগ করে অপর প্রার্থী জহিরুল ইসলাম প্রথমে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমানে অবস্থান নেন। প্রায় ১০ মিনিট সেখানে অবস্থান নেওয়ার পর তাঁরা রাজপাড়া থানা ঘেরাও করেন। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।
শনিবার বিকেলে নগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চণ্ডীপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুই প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি স্থানে গিয়ে বোমা হামলার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
মতিউর রহমান ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগর যুব মৈত্রীর সভাপতি। জহিরুল ইসলাম স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা।
মতিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আজ বিকেলে তাঁর সমর্থকেরা একটি মিছিল নিয়ে নগরের ভাটাপাড়া এলাকা থেকে চণ্ডীপুর প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে শ্রীরামপুর এলাকায় যাচ্ছিলেন। বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে মিছিলটি চণ্ডীপুর এলাকায় পৌঁছালে কাউন্সিলর প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ও তাঁর লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় মিছিলে বোমা হামলা করেন। এতে মিছিলে থাকা তাঁর সমর্থকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
বোমা হামলায় আহত কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে শিখা নামের আহত এক নারীকে পাওয়া যায়। তিনি মতিউর রহমানের মিছিলে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে জানান। তাঁর বাড়ি নগরের লক্ষ্মীপুর ভাটাপড়া এলাকায়।
তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হামলার সময় তিনি জহিরুল ইসলামকে দেখেছেন। জহিরুলের পাশ থেকে একজন তাঁর বুকের ওপরে লাথি মারেন। এতে তিনি উল্টে পড়ে গিয়ে বুকের বাঁ পাশে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন।
এদিকে মতিউর রহমানের মিছিল থেকে নগরের চণ্ডীপুর এলাকায় জহিরুল ইসলামের বাড়িতে বোমা হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এই প্রার্থী। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে জহিরুল ইসলাম তাঁর সমর্থকদের নিয়ে প্রথমে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমানে অবস্থান নেন। প্রায় ১০ মিনিট সেখানে অবস্থান নেওয়ার পর তাঁরা রাজপাড়া থানা ঘেরাও করেন। ২০ মিনিট পর পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়। সেখান থেকে ফিরে চণ্ডীপুর এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জহিরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ধরেননি।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে মতিউর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। জহিরুল ইসলাম অস্ত্র মামলার তথ্য গোপন করে প্রার্থী হয়েছেন এবং তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন উল্লেখ করে নিরাপত্তা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন মতিউর রহমান। এ ছাড়া মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ৬ জুন নগরের রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
নগরের রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল কুমার নন্দী প্রথম আলোকে বলেন, জহিরুল ইসলামের বাসায় হামলার কোনো আলামত তাঁরা পাননি। আবার মতিউর রহমান যে বোমা হামলার দাবি করছেন, সেটারও কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
বা বু ম / অ জি