বরিশাল সংবাদদাতা
লীগের একটি অংশের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে। তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ আরও ছিল ভোটার খরার এই সময়ে মানুষ ভোটকেন্দ্রে কতটা আসবেন, তা নিয়েও। এমনকি ভোটে বিএনপি না থাকার পরও প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী তাঁকে হারিয়ে গাজীপুরের মতো চমক সৃষ্টি করে কি না, এই শঙ্কাও কারও কারও ছিল। তবে সব সমীকরণ ছাপিয়ে ভোটের পরীক্ষায় উতরে গেলেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খায়ের আবদুল্লাহ। বরিশালের নতুন ‘নগরপিতা’ হিসেবে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেবেন তাঁরই আপন ভাতিজা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর কাছ থেকে। যদিও চাচাকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি সাদিক। মেয়র পদে তিনি এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় চাচা খায়ের আবদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়।
ভাতিজা তো বটেই এমনকি নিজের বড় ভাই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ পাশে আছেন কি না, ভোটের আগের দিন এমন প্রশ্নও শুনতে হয়েছে খায়ের আবদুল্লাহকে। এর জবাব অবশ্য তিনি দিয়েছিলেন ‘নিরুত্তর থেকে’।
সব ছাপিয়ে ভোটে খায়ের আবদুল্লাহ ৫৩ হাজার ৯৮০ ভোটের ব্যবধানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমকে পরাজিত করেছেন। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ছিল অনেকটাই শান্তিপূর্ণ। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর (হাতপাখা প্রতীক) ওপর হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে হাতপাখার কর্মী-সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তবে ভোট গ্রহণে এর ঘটনার প্রভাব দেখা যায়নি।
মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় বরিশাল শহরের চাঁদমারি এলাকায় দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলন। সেখানে দলের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচনের বুথগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা (ক্ষমতাসীন দল) বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম করেছে। এই অনিয়মকে তিনি ‘মারাত্মক’ বলেও উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে অনিয়মের প্রতিবাদ হিসেবে বরিশাল সিটি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি খুলনা সিটি নির্বাচনের (গতকাল অনুষ্ঠিত) ফলাফলও তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। এ ছাড়া সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন (২১ জুন ভোট গ্রহণ হবে) বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, যেহেতু সুন্দর পরিবেশ নেই, তাই তাঁরা নির্বাচন করবে না।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ১৭৭টি। ভোটের হার ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। নির্বাচনে মোট ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথের সব কটিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হয়।
গত রাত সোয়া ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। তৃতীয় হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান ৭ হাজার ৯৯৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর বাবা বরিশালের প্রয়াত মেয়র আহসান হাবিব কামাল।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন ৬ হাজার ৬৬৫ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মিজানুর রহমান ২ হাজার ৫৪৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী হরিণ প্রতীকের মো. আলী হোসেন হাওলাদার ২ হাজার ৩৮১ ভোট এবং হাতি প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান পেয়েছেন ৫২৯ ভোট।
গতকাল বেলা পৌনে ১১টায় বরিশাল সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। তখন তিনি বলেছিলেন, ভোটের ফলাফল যা-ই হোক, মেনে নেবেন তিনি।
এদিকে নৌকার প্রার্থী জয়ী হওয়ার পর বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দীন গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আধিপত্যবাদী রাজনীতির চর্চা থেকে দলকে মুক্ত করার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাঁরা আবুল খায়ের আবদুল্লাহর পক্ষে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করেছেন। তাঁর জয়ে এ অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন হবে
গতকাল সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রথম আলোর চারজন প্রতিবেদক ও তিনজন ফটোসাংবাদিক ১৩টি ওয়ার্ডের ৩০টি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এসব কেন্দ্রে সকাল থেকেই প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে নারী ও পুরুষ ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে থাকেন। তবে কিছু কেন্দ্রে ইভিএম জটিলতায় ভোট দিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ভোটারদের। ভোট গ্রহণের শেষ দেড় ঘণ্টা প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির কারণে ওই সময় ভোটার উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে বাবা পরশ চন্দ্র ঘোষ ও ছেলে শ্যামল চন্দ্র ঘোষ একসঙ্গে ভোট দিতে আসেন। ভোট দেওয়ার পর কেন্দ্র থেকে বের হয়ে তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়া কঠিন নয়, কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় একটু ভয় লেগেছিল তাঁদের।
শহরের আমতলা এলাকার সরকারি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৭০ জন ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে ভোটার ১ হাজার ৫৮২।
অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন ৭১ বছর বয়সী রিজিয়া বেগম। বয়সের কারণে হাঁটতে না পারায় মেয়ে মালা বেগমের কোলে চড়েই ভোটকক্ষে গিয়ে ভোট দেন।
মালা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মায়ের চলতে-ফিরতে কষ্ট হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারেন না। মা ভোট দিতে চেয়েছেন। তাই কষ্ট হলেও তাঁকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন।
সিলেট শহরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলে নারীদের একটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টা ৪৯ মিনিটে কেন্দ্রটির ৮ নম্বর বুথে ৩১৪ ভোটের মধ্যে মাত্র ৭টি ভোট পড়েছে। কিন্তু কেন্দ্রটির বুথগুলোর সামনে দীর্ঘ লাইন।
ইসমত জাহান নামের এক ভোটার বলেন, ‘সকাল আটটায় এসে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করছি। কিন্তু সিরিয়াল পাচ্ছি না। একজন ভোট দিতে গেলে অনেক সময় নিচ্ছে।’
এই বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, নারীরা এই সিস্টেমে (ইভিএম) ভোট দিতে বেশ সময় নিচ্ছেন। তাই ধীরগতি।
ভোট শুরুর প্রথম ১৫ মিনিটে সিটির অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রের ৪ নম্বর পুরুষ ভোটকক্ষে ১০টি ভোট পড়ে। এরপর ইভিএম জটিলতায় কক্ষটিতে প্রায় ৪৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। এই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুমন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভোটারদের আঙুলের ছাপ মিলছিল না। কারিগরি দলকে জানানো হয়েছে। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর নির্বাচন কমিশনের কারিগরি দল ত্রুটি সারে। পরে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
নির্বাচন শুরুর পর ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ তোলা হয়। এর মধ্যে ছিল দলটির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মারধর-হয়রানি, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ভোটারদের বাধা দেওয়া, জোরপূর্বক ভোট।
ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীর মিডিয়া সেলের সদস্য এইচ এম সানাউল্লা গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের দলের নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। কোথাও হামলা হয়েছে, মারধর করা হয়েছে।
দুটি কেন্দ্রে এজেন্টদের ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান। গতকাল সকাল নয়টার দিকে আলেকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ তোলেন টেবিলঘড়ি প্রতীকের এই মেয়র প্রার্থী।
এজেন্ট প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠা দুটি কেন্দ্র হলো জাহানারা গোলাম মাওলা হাফেজিয়া ও কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসা এবং ৬৬ নম্বর মতিনপুর শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়। কামরুল আহসান এমন অভিযোগ করার পর দুটি কেন্দ্রে যান প্রথম আলোর দুজন প্রতিবেদক। বেলা একটার দিকে কেন্দ্র দুটিতে গিয়ে দেখা যায়, টেবিলঘড়ি প্রতীকের এজেন্টরা সেখানে আছেন।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করিম। সেখান থেকে বের হয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর হাতেম আলী কলেজ এলাকার কাছে ৩০ থেকে ৪০ জন ব্যক্তি তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালান বলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল ব্যবহার করেছেন। এতে তিনিসহ দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. আফজালুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়টি যথাযথভাবে পুলিশকে তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন তাঁরা। হাতপাখার প্রার্থীর সঙ্গে কয়েক শ নেতা-কর্মী ছিলেন, এর মধ্যে কীভাবে হামলা হয়, বিষয়টি রহস্যজনক। এটি সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখা উচিত।
মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়টি বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামকে জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করিমের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান।
হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে আহসান হাবীব খান গতকাল দুপুরে ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারীদের আগে গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে। তারপর তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বরিশাল সিটি নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্রে দলের কর্মীদের মারধর ও ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে আওয়ামী লীগ। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগে দলটি বলেছে, হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিম সদলবল কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন।
আবুল খায়ের আবদুল্লাহর জয়ে বরিশালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হতে পারে। দীর্ঘদিন থেকে বরিশালে দলটির রাজনীতিতে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর একচ্ছত্র প্রভাব বজায় রয়েছে। ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ২০১৮ সালে বরিশাল সিটির মেয়র হওয়ার পর স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁর নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় হয়।
তবে খায়েরের জয়ে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরিশাল নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম। গত রাতে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আবুল খায়ের বরিশালে কখনো রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাঁর ভাই ও ভাতিজাও চাননি তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হোন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তিনি ভাতিজার গত পাঁচ বছরের ব্যর্থতা, উন্নয়ন বঞ্চনা ও নানা বিতর্কিত কাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হয়ে ওঠেন। পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতে বাবা-ছেলের আধিপত্যের খড়্গ থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ছিল আওয়ামী লীগের হাজারো নেতা-কর্মীর। যার প্রতিফলন ঘটেছে ভোটের ফলাফলে। এখন তিনি মেয়র হিসেবে ও দলীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে না পারলে তাঁরা আশাহত হবেন।
বা বু ম / এস আর