1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় রিকশাচালক ছকু হত্যা মামলার দুই ভাই কারাগারে

  • সময় : মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৪৭

শেখ মো: আতিকুর রহমান আতিক, গাইবান্ধা :

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে রিকশাচালক ছকু মিয়া হত্যা মামলার দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

২৬ অক্টোবর মঙ্গলববার দুপুরে গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে পরে আদালতের বিচারক আশিকুল খবির শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, মন্টু মিয়া ও রনজু মিয়া। তারা সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাদুল্লাপুর উপজেলার পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের ছয় ভাই আলমগীর, আংগুর, রনজু, মনজু, সনজু ও মন্টু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দাদনের কারবারে জড়িত।
তাদের সঙ্গে রিকশাচালক ছকু মিয়ার পারিবারিক ও দাদনের টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। ছকুর ছেলের সঙ্গে মন্টু মিয়ার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সেই বিরোধ আরও বাড়ে।

এ নিয়ে গত ১৫ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছকু মিয়াকে তারই বাড়িতে আটক করে হাত-পা বেঁধে ফেলে ছয় ভাইসহ তাদের লোকজন।
পরে তাকে মারপিটের একপর্যায়ে রনজু মিয়া হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ছকুর গোপনাঙ্গে লাথি দেন।
এবং মন্টু বুকের ওপর দুই পা দিয়ে পরপর কয়েকবার আঘাত করেন। এভাবেই রাতভর ছকুর উপর চলে অমানবিক নির্যাতন।

এ ঘটনার পাঁচদিন পর দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম স্বাধীনের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে ছেলের প্রেমের খেসারত হিসেবে ছকু মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সেই টাকার জন্য ছকুর একমাত্র ঘরটিও ১৫ হাজারে বিক্রি করে দেন দাদন কারবারিরা। এরপর তাকে বাড়ী ভিটেছাড়া করা হয়। পরে ছকু মিয়া আশ্রয় নেন গাজীপুরের শ্রীপুরে ছেলের বাসায়। সেখানে হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়ার সময় ৩ জুন মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় থানায় মামলা না নিলে গত ১৬ জুন নিহত ছকু মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে (সাদুল্লাপুর) মামলা করেন। পরে আদালতের বিচারক শবনম মুস্তারী সাদুল্লাপুর থানাকে মামলা রেকর্ডভুক্ত করে ২৩ জুনের মধ্যে মরদেহ উত্তোলনসহ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।

গত ২১ জুন সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ও জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লোকমান হোসেনের উপস্থিতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এদিকে, মামলার বাদি মোজাম্মেল হক মামলা করার পর তাকেও বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে পাশের একটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদিপক্ষের আইনজীবী এ‍্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। কিন্তু হত্যার ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।

আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন, এ‍্যাডভোকেট সৈয়দ ছামছুল আলম হিরু, এ‍্যাডভোকেট আহসানুল করিম লাছু, এ‍্যাডভোকেট নিরাঞ্জন কুমার ঘোষ ও আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিউকিটর (পিপি) শফিকুর রহমান শফি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪