১৯৪৯ সালের ২৩ যাত্রা শুরু করে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশের সবচেয়ে পুরনো পরিণত দল এখন এটি।মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বসহ নানা গৌরবময় অর্জন, দলটিকে করেছে গৌরবান্বিত।
করোনার কারণে এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে থাকছে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসূচি। ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় স্বল্পসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
দেশভাগের পর ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে পাকিস্তানি শোষণের কবলে পড়ে পূর্ববঙ্গবাসী। স্বপ্নভঙ্গ হয় এ অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের। তৈরি হয় নতুন দল গঠনের তাগিদ। জন্ম নেয় আওয়ামী মুসলিম লীগ।
আপস
অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চেতনা থেকে ১৯৫৫ সালেই দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। তবে, সেই চেতনা আওয়ামী লীগ ধরে রাখতে পেরেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের।
উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে শুধু আওয়ামী লীগেরই রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে পারাকে সক্ষমতা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করা, নেতৃত্বের বিকাশসহ নানা উদ্যোগের প্রশংসা করলেও তাদের সমালোচনা দল আর সরকার এক করে ফেলায়।
দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সময়ের প্রয়োজনে কিছু ক্ষেত্রে কৌশলী হতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। দীর্ঘ এই পথচলায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মেট্রোরেল-পদ্মাসেতুসহ বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প এগিয়ে নেয়ায় দলের সাফল্যের পাল্লাই ভারী।