বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলী উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের
স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে তৎকালীন সময় ২০ শয্যা
বিশিষ্ট হাসপাতাল গড়ে উঠে।নামে আছে হাসপাতাল
কিন্তু এখন পর্যন্ত নেই কোনো পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখন ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব সেন্টার হিসাবে কার্যক্রম চলমান আছে। কিন্তু২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার বুথ এবং অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।
সরেজমিন গিয়ে ঘুরে দেখা গেছে,মহামারী করোনা ভাইরাসে জন-জীবন দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে।ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সরকার ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করছে
প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।দুঃখের বিষয় তালতলী ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেই কোনো করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরিবেশ।হাসপাতালের
ভিতরে গেটের পাশে এক মহিলা দূর-দূরান্ত থেকে আগত রোগীদের স্লিপ কেটে ডাক্তারদেখানোর জন্য।আলাদা ভাবে করোনা ভ্যাকসিনের নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করে নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।সচেতন ব্যক্তিরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের দায়ী করছেন।
স্থানীয়রা জানান,উপজেলা পূর্ণাঙ্গ রুপে হলেও সাড়ে ৮ বছর অতিবাহিত কিন্তু প্রশাসনিক প্রায় সব অফিস-আদালত আসলে ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেই।তালতলী হাসপাতালে ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দুরুত্বের জন্য করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব না।সাধারণ মানুষ অন্য উপজেলায় গিয়ে টিকা বা রেজিষ্ট্রেশন করতে চাচ্ছে না।আমরা অনেকেই রেজিষ্ট্রেশন করেছি কিন্তু আমতলী-তালতলী যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় অন্য উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে টিকা নিতে চাচ্ছি না।করোনা ভ্যাকসিন যদি
উপজেলার প্রত্যেক কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে টিকা দেওয়া যায় তৃণমূল থেকে আড়াই লাখ মানুষ টিকার আওতায় আসতে পারে।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষরা
ভ্যাকসিন সরবরাহ করে সে গুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করবে স্বাস্থ্য কর্মিরা।কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা ব্যবস্থা করলে সাধারণ মানুষ খুব উপকৃৃত হবে।সরকারের
কাছে ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষদের জোর অনুরোধ করছি সাধারণ মানুষের চিন্তা রেখে একটি বুথ স্থাপন করা হোক।
উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা.ফাইজুর রহমান বলেন,হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিনের কোনো সরঞ্জাম নেই।এ সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করুন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শংকর প্রাসাদ বলেন,তালতলীতে কোনো হাসপাতাল নেই।দুরুত্ব অনেক করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার পড়ে যদি কোনো মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন তাড়াতাড়ি পটুয়াখালীতে পাঠানো যাবে।এ জন্য হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়ার বুথ চালু করেছি।
বরগুনা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান মুঠোফোনে বলেন,২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ডেপুটেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছ।এখানে মাত্র আউটডোর খোলা রয়েছে ইনডোর নেই। যারা ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক তাদের কষ্ট করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে হবে।ভ্যাকসিনের জন্য আমতলী হাসপাতালে ইনডোর সেটাপ রয়েছে।