বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি:
যশোর রেল স্টেশন এলাকার দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার উচ্ছেদের নেতৃত্ব দেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুল হক। দখলমুক্ত হওয়া এলাকায় মালবাহী ট্রেনের পণ্য খালাসের জন্য অতিরিক্ত ৪টি লাইন এবং শেড নির্মাণ করবে রেলওয়ে। রেলওয়ের ১৭ নম্বর কাচারীর আমিন আব্দুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সরেজমিনে জানা গেছে, রেলস্টেশনের দক্ষিণ ও পশ্চিমপাশের সরকারি জায়গা দখল করে ৫শ থেকে ৬শ পরিবার ২০ বছর থেকে ৩০ বছর বসবাস করতো। সেখানকার বাসিন্দারা জানান, তারা লিজ নিয়ে কাঁচাঘর নির্মাণ করে বাস করছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সাতদিন আগে মাইকিং করে তাদের জায়গা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা ভেবেছিলেন অন্য জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছে ঠিকই সহজে উচ্ছেদ করবে না। তাই তারা জায়গা ছেড়ে যায়নি। বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করলে সেখানকার বাসিন্দারা তাদের মালামাল এনে রাখে রেলগেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। আবার কেউকেউ ভ্যানে করে মালামাল সরিয়ে নেয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও ভাঙতে বাকি রয়েছে রেলওয়ের ৬টি কোয়ার্টার। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেগুলো ভেঙে নেবে বলে জানান রেলওয়ের ১৭ নম্বর কাচারীর আমিন আব্দুল মতিন। উচ্ছেদের সময় ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি ছিল জেলা পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগ। যশোর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওয়ালিউল হক জানান, যশোরের রেলস্টেশনে জায়গা সংকটের কারণে বেনাপোল থেকে আসা মালবাহী ট্রেনের মালামাল খালাস করা যায় না। নওয়াপাড়া স্টেশনের সহযোগিতায় মালামাল খালাস করতে হয়। সেই সাথে পর্যাপ্ত রেলক্রসিং না থাকায় আন্তঃট্রেন আসার সময় বেশি লাগে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য স্টেশনে ২ হাজার ৩৩৮ ফিট দুটি লাইন স্থাপন করা হবে। এ লাইন করা হবে প্রায় ১ কিলোমিটার। সেই সাথে হাই প্লাটফর্ম, টিনসেড ও রাস্তা বানানো হবে। এটা করা হলে একসাথে ৪০টি মালবাহী ট্রেনের বগি রেখে মালামাল খালাস করা যাবে। বর্ষাকালে যাতে মালামাল আনলোড করতে সমস্যা না হয় এজন্য নির্মাণ করা হবে টিনসেড। আগে মালবাহী ট্রেনের ২০টি বগি রাখা যেতো। স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান জানান, রাজস্ব খাত থেকে স্টেশনে চার নম্বর লাইন বর্ধিত করণের কাজ করা হবে। এ কাজের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।