কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৬৮ শূন্য পদ পূরণ করা হয়েছে। রোববার (৩১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য শূন্য পদগুলোতে নতুন নেতা মনোনীত করেন। এর আগে, বিতর্কিত ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় অভিযোগে ছাত্রলীগের ৩৭ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর বাইরেও আরো বেশকিছু পদ শূন্য ছিল। ফলে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি এক বছরেরও বেশি সময়ের পর অবশেষে পূরণ করা হল।
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে দায়িত্ব পালনের আগেই ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এই দুই নেতা। তাদের অব্যাহতির পর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান যথাক্রমে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।
তিন মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের পূর্ণাঙ্গ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এর আগে শোভন ও রাব্বানী দায়িত্ব পাওয়ার এক বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। আর কমিটি ঘোষণার পরপরই পদ পাওয়া কিছু নেতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে অন্যরা। এছাড়াও সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন ছাত্রলীগের বঞ্চিত ও পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা।
পরে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জয়-লেখক কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিত ২১ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ১১ জনের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এর বাইরে বিভিন্ন সময় আরও চারটিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির মোট ৩৭টি পদ শূন্য হয়।