1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন

ভোট ডাকাতি হলে ‘গৃহপালিত’ ডিসি-এসপিকে জবাব দিতে হবে: কাদের মির্জা

  • সময় : শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩৩২

ডেস্ক নিউজ:

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, কাল (শনিবার ৩০ জানুয়ারি) নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভার ভোট। এ ভোটে যদি কোনো অনিয়ম করা হয়, সেখানে যদি ভোট ডাকাতি করা হয় তাহলে নোয়াখালীর এমপি একরামের গৃহপালিত ডিসি-এসপি আপনাদেরকে জবাব দিতে হবে।  তিনি বলেন, চৌমুহনীতে হেরে গেলে শেখ হাসিনার গদি চলে যাবে না। গদি যাবে তিন বছর পরের ভোটে। এ তিন বছর সঠিকভাবে কাজ করলে আগামী নির্বাচনেও (জাতীয় সংসদ নির্বাচন) ওভারকাম করবে। আমাদের নোয়াখালীতে ৩ থেকে ৪টা আসনে জিতবে, সেগুলোতেও এখন থেকে কাজ করতে হবে। অন্যথায় আমাদের এখানেও হুমকির সম্মুখীন। 

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। 

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর অপরাজনীতি নিয়ে রোববার ও মঙ্গলবার ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন দিয়েছিলাম। হাইকমান্ডের নির্দেশে আমি সে কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম। হাই কমান্ডের বাহিরে আমি কিছুই করতে পারবো না। তাহলে আমি আমার আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হবো। তবে সাহস করে যে সত্য কথাটা বলছি এটা থেকে সরবো না। অন্যদিকে তিনি জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নোয়াখালীর একরাম চৌধুরীর অপরাজনীতি বন্ধ না হয় বা হাইকমান্ড কোনো সিদ্ধান্ত না দেয়, তাহলে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে এটা বন্ধ করবো।

তিনি ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালী-৫ আসনের কবিরহাট উপজেলার কথা উল্লেখ করে বলেন, কবিরহাট কার কনস্টেন্সিতে? তাহলে সেখানে চেয়ারম্যানরা তার (একরাম চৌধুরী) ভয়ে এত অস্থির কেন। তিনি হাত উঁচু করে বন্দুকের ট্রিগার টানার মতো দেখিয়ে বলেন, এটা আছে-এটা আছে। এটাকে সাংবাদিক ভাইরাও ভয় পায়। 

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনের টিম ওয়ার্ক নাই। মন্ত্রীকে (ওবায়দুল কাদের) রাজাকার বলার পরও কেন্দ্রীয় নেতারা ওই সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলতে পারেন? হুশা-হুঁশি করেন, হুশা-হুঁশি করে বাঁচতে পারবেন। কেন্দ্রীয় নেতারা নাকি কারও কারও হিছের রুমে (পিছনের রুমে) গিয়ে দেখা করে। আবার দোতালায়ও (২য় তলায়) গেছে। এ সময় তিনি শ্লোগান দেন ‘এক দফা এক দাবি একরাম তুই কবে যাবি’। 

তিনি চট্টগ্রামের ভোটে অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এটা কি ঠিক হয়েছে? একজন নাকি আমার নামে ওই মেয়রকে অভিনন্দন দিয়েছে। আমি বললাম, তোমাকে কে অনুমতি দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সেখানে কি ভোট চুরি হয়নি। যে ২২% ভোট পড়েছে তাও চুরি করে নিছে। এ ভোট আমরা মানি না, এ ভোট আমরা চাই না। আমরা বসুরহাট পৌরসভার মতো ভোট চাই। 

তিনি সাংবাদিকদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার শুধু নেগেটিভ কথাগুলো আপনারা প্রচার করেন। পজিটিভগুলো করেন না। আমি বঙ্গবন্ধুর কথা বলেছি, আমি শেখ হাসিনার কথা বলেছি। সেগুলোতো দেখান না। অবশ্য নেগেটিভ কথাগুলো প্রচার না করলে পত্রিকার পাতাও কেউ পড়বে না, টেলিভিশনের পর্দায়ও কেউ থাকবে না। অবশ্য আমি আপনাদের ওপর খুশি, কারণ সাহস করে যে সত্য কথা বলছি তা আপনাদের সহযোগিতায় সবাই জানছে। 

কাদের মির্জা বলেন, কেউ কেউ বলছে আমি নাকি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলছি। এটা ঠিক নয়। আমি বলেছি, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম রাজনীতি চালাতে সহযোগিতা নেন। আমিও সহযোগিতা নিয়ে রাজনীতি করি। 

তিনি আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ওবামার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, রাজনীতি করতে তারাও সহযোগিতা নেন। এবার নাকি ট্রাম্প রাস্তায় গামছা বিছিয়ে সহযোগিতা নিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪