মোঃ রহমাতুল্লাহ (পলাশ), হিজলা উপজেলা প্রতিনিধি::
বরিশালের হিজলা উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটাই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ইট তৈরীর কাজ। সারা বিশ্ব যখন পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন তখনই বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ইট পোড়ানোর কাজ।
ইটভাটার মালিক গন পরিবেশ বিপর্যয় কে তোয়াক্কা না করে। অধিক লাভের আশায় জ্বালানি কাঠ ও কয়লা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ইটভাটা গুলো। কাঠ ও কয়লার দূষণের শিকার অত্র এলাকার পরিবেশ। অনুমোদনহীন ইটভাটার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার একর কৃষি ফসলি জমি।ও কৃষির উৎপাদন হারিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, অত্র এলাকার ইটভাটাগুলো ইট ও মাটি স্থানান্তর করার কারণে এলাকার কাঁচা ও পাকা রাস্তাগুলি সাধারণ মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ইটভাটার মালিকগন প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না।এতে এলাকার পরিবেশ দূষণ ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শিকার হয়ে দাঁড়ায়। গাছপালা ও ফল-ফলাদি থেকে শুরু করে সবকিছুই যেন বিলুপ্তির পথে।
বিশ্ব যখন করোনা মহামারীরতে থমকে আছে । তখনই কিছু ইটভাটার মালিকরা অসাধু ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে পরিবেশ দূষণকারী ইট পোড়ানোর কাজ। এতে মানুষের শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগের উপদ্রব ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও জ্বালানি কাঠ ও কয়লার দূষণের কারণে অনেক গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্যর ক্ষতির আশঙ্কা দেখা যায়।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান সরকারের সাথে মুঠোফোনে জানান, অবৈধ ইটভাটা বন্ধের জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ চলছে। তিনি আরোও বলেন, যে সকল ইটভাটাগুলো পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করুন। আপনাদের সংবাদ প্রকাশের জন্য কোন তথ্য প্রয়োজন, আমরা সহযোগিতা করব।