1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

সৌরভের শরীরে আরও দুটি “স্টেন্ট” বসবে

  • সময় : বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১
  • ২৭০

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হৃদযন্ত্রে বসানো হবে আরও দুটি “স্টেন্ট”৷ তবে, এখনই নয়৷ তিন সপ্তাহ পরে৷ তাই, আজ তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে৷ তবে, এখন বাড়িতে তাঁকে সস্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে৷ খুব জরুরী হলে, “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” চলতে পারে৷ শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের “ডায়েট চার্ট” অনুযায়ী খাবার খেতে হবে৷ কোনওরকম জাঙ্ক ফুড বা ফাস্ট ফুড চলবে না৷ রেড মিট, বিরিয়ানী, ঠান্ডা পানীয় একেবারেই বন্ধ৷ এত সতর্কতার কারণ, সৌরভ খেতে অত্যন্ত ভালবাসেন৷
গত ২ জানুয়ারি আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার, ভারতের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক এবং বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট কনট্রোল বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত হাসপাতালে ভর্তি হন৷ সেদিন সকালে নিজের বাড়িতে শরীরচর্চা করার সময় তাঁর মাথা ঘুরে যায়৷ বুকে যন্ত্রণা হতে থাকে৷ এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, তিনি মৃদু হৃদরোগে আক্রান্ত৷ তাঁর করোনারি আর্টারিতে তিনটি “ব্লকেজ” রয়েছে৷ সেইদিনই এঞ্জিওপ্ল্যাস্টি করে একটি একটি “স্টেন্ট” বসানো হয়৷ তারপর, সৌরভ খানিকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন৷ পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য ভারতের শ্রেষ্ঠ ১০ জন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়৷ যার শীর্ষে ছিলেন বিশিষ্ট হৃদ-শল্য চিকিৎসক দেবী শেঠী৷
তিনি তাঁর টিম নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতায় পৌঁছোন৷ যাবতীয় রিপোর্ট এবং নতুনভাবে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে দেবী শেঠী জানান যে, সৌরভের হৃদযন্ত্র সাঙ্ঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি৷ যথেষ্ট সচল আছে৷ তাই, এই মুহূর্তে বাইপাস সার্জারির কোনও প্রয়োজন নেই৷ তিনি বাড়ি ফিরে যেতে পারেন৷ তবে, প্রথমত তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে, দ্বিতীয়ত কোনও ভারী কাজ করা যাবে না এবং ৩ সপ্তাহ পরে বাকি দুটি করোনারি আর্টারি সচল রাখার জন্য আরও দুটি “স্টেন্ট” বসাতে হবে৷ তারপর তিনি ইচ্ছা হলে খেলাধূলোও করতে পারবেন। কিন্তু, সৌরভ হঠাৎ এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দেবী শেঠী জানান, দীর্ঘদিন সৌরভ কোনওরকম শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাননি৷ সেইজন্য এই বিপদ ঘনিয়ে এসেছিল৷ আগে থেকে সচেতন হলে, আজ থেকে ২০ বছর আগেই হৃদরোগ আটকানো যেত৷

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪