গতিপথ পরিবর্তন করায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাব কম পড়েছে বাংলাদেশে। তবে দশ জেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। আম্পান বিকেল পাঁচটা থেকে স্থলভাগে আঘাত করলেও বাংলাদেশের সীমানায় ঝড়ের কেন্দ্র আসে রাত আটটায়। কেন্দ্রস্থলে বাতাসের গতিবেগ কমে যাওয়ায় ৯০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে আম্পান। আবহাওয়া অধিদপ্তর উপপরিচালক কাউসার পারভীন বলেন, ঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টি হবে। পরদিন শুক্রবার ২২ মে দেখা যাবে ঝলমলে রোদ।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় আম্পান আছড়ে পড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপে। স্থলভাগে আম্পান প্রবেশের সময় তার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার । সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে কোলকাতায় ঝড় যখন প্রবেশ করে, গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৩৩ কিলোমিটার। এরপর হুগলি, ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ । সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে ঢুকে যশোর, নড়াইল, মাগুরা, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জামালপুরে এসে দুর্বল হয় আম্পান। এসময় বাতাসের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৯০ কিলোমাটারের মধ্যে।
তবে ভূখণ্ডে আম্পানের স্থল নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টির নাম মুছে যাবে।পরে ময়মনসিংহ হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গিয়ে হারিয়ে যাবে স্থল নিম্নচাপটি। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টি হবে।পরদিন শুক্রবার ২২ মে দেখা যাবে ঝলমলে রোদ।আম্পান গতিপথ পরিবর্তন করায় উপকূলে বেশি সময় পেয়েছে।বাংলাদেশের ১০ জেলার স্থলভাগে অবস্থান করে শান্ত হয় ঝড়।জলোচ্ছ্বাস হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায়।খুলনা বিভাগের বেশির ভাগ এলাকায় জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙ্গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় সাত দিন ধরে বঙ্গোপসাগর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে নিজেকে পরি