রংপুর নগরীর দর্শনা বাছিরন নেছা স্কুল ও কলেজ এর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে দর্শনা বাছিরন নেছা স্কুল ও কলেজে সরেজমিনে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
অভিভাবক ও ছাত্র- ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতেকের কাছে জোর পূর্বক মাসিক বেতনসহ ৩০০ ও ৪০০(তিনশত,চারশত) টাকা ফি নিয়ে এ্যাসাইনমেন্ট পরিক্ষার খাতা দিচ্ছে। আমরা হতদরিদ্র পিছিয়ে পড়া গরীব মানুষ। আমরা এই করোনা কালে টাকাটা দিতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছি। এদিকে টাকা না দিলে ছাত্র ছাত্রীদেরকে পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে না। এমন কথা বলে ক্লাশ টিচাররা।
অনেকে কিছু টাকা দিয়েছে আর কিছু টাকা দিতে পারেনি বলে দর্শনা বাছিরন নেছা স্কুলের শিক্ষক তাদের খাতা দেয়নি ও কারো কারো খাতা জমাও নেয়নি।
এ ব্যাপারে দর্শনা বাছিরন নেছা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান বকুল বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ করি, বলি ইন্টারনেট থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে নিয়ে বাসায় পরিক্ষা দিয়ে স্কুলে খাতা জমা দিতে হবে। আমরা জানি শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে পরিক্ষা দিতে সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা শিক্ষকদের সম্মানিসহ এ্যাসাইনমেন্ট ফি নির্ধারণ করেছি। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীর জন্য ৩০০/- (তিনশত)টাকা, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ৪০০ (চারশত)টাকা এ্যাসাইনমেন্ট ফি দিতে হবে।
এদিকে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রী বলেছেন, আমাদের কাছে চাপ সৃষ্টি করে ৩০০থেকে ৪০০/- টাকা নিয়ে প্রশ্ন ও পরিক্ষার খাতা দিয়েছে কিন্তু, মাসিক বেতন সম্পূর্ণ পরিশোধ না করলে খাতা জমা নিচ্ছেনা। স্কুল থেকে ফেরত দিয়ে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে।
অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রী এমন ও কথা বলেন যে আমরা এসময় খেতে পাচ্ছি না, এতো টাকা কিভাবে দেবো, সারাবছর আমাদের বাচ্চাদের কে পরাইলো না আবার বেতন নিচ্ছে জোর করে। পরিক্ষার খাতা জমা নিচ্ছে না। আমাদের বাচ্চা তো পাশ না করলে পিছিয়ে যাবে।
জেলা শিক্ষা অফিসে গেলে শিক্ষা অফিসার মোছাঃ রোকসানা বেগম বলেন স্কুলে টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোন ফি নিতে পারবে না। যদি কোন স্কুল নিয়ে থাকে তাহলে সেটা অন্যায় করছে।##