বরিশালে শুরু হয়ে গেছে শ্মশান দিপাবলী। তিথি অনুযায়ী সকাল ১০টার পরে শুরু হয়েছে ভূত চর্তুদশী। এর পূণ্য তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রয়াত স্বজনদের সমাধিতে দীপ প্রজ্জলন, চন্ডি পাঠ এবং ভক্তিপূর্ণ খাদ্য সামগ্রী উৎসর্গ করে প্রার্থনা করা হবে। তিথি শেষ হবে শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৭টা পর্যন্ত। মূলত লহ্মীপূজার আগের তিথিতে প্রদীপ প্রজ্জলন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রয়াত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় তিথি শুরু হলেও দিপাবলীর মূল পর্ব সন্ধ্যায় কাউনিয়ার মহাশশ্মানে জ্বলে উঠবে লাখ লাখ মোমের আলো।
প্রায় দুই শ’ বছরের পুরাতন ও উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় দিপাবলীর আয়োজন হয় বরিশালের এই মহাশশ্মানে। প্রতি বছর এই দিনটি একটি উৎসবের রুপ নিয়ে থাকে। দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ আসে তাদের স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনা করতে। আবার হাজার হাজার মানুষ আসে দিপাবলী দেখতে। তবে অন্যান্য বছর ব্যাপক সমারোহে দিপাবলী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও করোনার কারনে এবার উৎসব হবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে।
দিপাবলী উৎসবের জন্য মহাশ্মশানের মঠ সহ সমাধীস্থলগুলোতে ইতিমধ্যে প্রয়াতের স্বজনরা আসতে শুরু করেছে। মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার জানিয়েছেন, এবার মাস্ক ব্যতিত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না মহাশ্মশানে। জীবানুনাশক দুটি টানেল বসানো হয়েছে প্রবেশ গেটে। নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারনে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে আয়োজন। এ বছর বন্ধ তোরন নির্মান, আলোকসজ্জা ও ঐতিহ্যবাহী দিপাবলী মেলা।
প্রসঙ্গত, বরিশাল নগরীর কাউনিয়ায় ৬ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা মহাশ্মশানে প্রায় ৬১ হাজার সমাধি রয়েছে।