সংকট কাটেনি এখনও। তবে বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। শুক্রবার রাতে মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনই জানালেন তাঁর চিকিৎসায় তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম প্রধান চিকিৎসক অরিন্দম কর। সব ঠিক থাকলে শিগগিরই তাঁর অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ বন্ধ করা হবে। ৮৫ বছরের প্রবীণ অভিনেতার শ্বাসনালীর জন্য ট্রাকিওস্টোমি করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই দু, একদিনের মধ্যেই। সবমিলিয়ে, অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও, তাঁকে এখনই ভেন্টিলেশনের বাইরে আনার অবস্থা নেই বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার নামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বছর পঁচাশির সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হন, একাধিক অসুস্থতা থাকায় দোসর হয় কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি (COVID Encephalopathy)। করোনা ভাইরাসকে কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি কাবু করতে সক্ষম হলেও, প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় অন্যান্য শারীরিক সমস্যা। ফলে আংশিক ভেন্টিলেশন থেকে তাঁকে পুরোপুরি ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। তাঁর চিকিৎসায় তৈরি হয় মেডিক্যাল বোর্ড।মাঝে তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হু হু করে কমতে থাকায় চিন্তা বাড়ছিল, কাটছিল না তাঁর আচ্ছন্নভাব।
আপাতত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কিছুটা বাড়লেও, তা স্বাভাবিকের তুলনায় কমই রয়েছে। তবে তাঁকে বারবারই রক্ত দিতে হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। স্বাভাবিক রয়েছে প্লেটলেটস কাউন্ট। খুব ধীরে ধীরে কাটছে আচ্ছন্নভাব। যদিও তাকে বিশেষ উন্নতি বলতে নারাজ চিকিৎসকরা।শুক্রবার রাতে শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্বাসনালীতে বায়ুচলাচল স্বাভাবিক করতে ট্রাকিওস্টোমি করা নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন চিকিৎসকরা।
শনি বা রবিবার তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক অরিন্দম কর। তবে সবক্ষেত্রেই ভাবাচ্ছে কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি। যার জেরে পরিস্থিতি কিছুটা ঝুঁকির হয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে, এখনও সংকটমুক্ত নন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।