চিকিৎসায় ফের খানিকটা সাড়া দিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। সুখবর একটাই তাঁর ইন্টারনাল ব্লিডিং বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এখনও একই রয়েছে। ভাস্কুলার সার্জেন, রেডিওলজিস্ট, অ্যানাস্থেসিস্ট তাঁকে ২৪ ঘণ্টাই পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। নতুন করে যাতে আর রক্তক্ষরণ না হয়, সেদিকেই বিশেষভাবে খেয়াল রেখেছেন চিকিৎসকরা। কেমন আছেন ‘ফেলুদা’? সেই উত্তরের খোঁজে উদগ্রীব তাঁর অগণিত অনুরাগী। চতুর্দিকে চলছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনা।
তারই মাঝে অভিনেতার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কিত বুলেটিন প্রকাশ করল বেলভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসক অরিন্দম কর জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান অভিনেতার ইন্টারনাল ব্লিডিং বা রক্তক্ষরণ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। নতুন করে যাতে আর কোনওভাবে রক্তক্ষরণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। তবে তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা মোটের উপর একইরকম রয়ে গিয়েছে। শরীর থেকে জমাট বাঁধা রক্ত বের করার প্রক্রিয়াও চলছে। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও ঠিকই রয়েছে। তবে তাঁর অচেতন ভাব এখনও কাটেনি। সেটিই কীভাবে কাটিয়ে আবার আগের মতো সুস্থ করা সম্ভব হয় সে বিষয়েই চিন্তাভাবনা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
‘ফেলুদা’কে ২৪ ঘণ্টা ভাস্কুলার সার্জেন, রেডিওলজিস্ট, অ্যানাস্থেসিস্ট পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর থেকে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা। করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। প্লাজমা থেরাপির পর তাঁর করোনা (COVID-19) রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেই সঙ্গে চিকিৎসাতেও সাড়া দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ে। চিকিৎসক অরিন্দম করের মতে, পঁচাশি বছর বয়সে করোনা সংক্রমণ।
তার উপর আবার কোমর্বিডিটি। এমনকী এতদিন ধরে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট – সব মিলিয়ে বেশ কঠিন হয়ে যায় পরিস্থিতি। তবে এখন প্রত্যেকের একটাই প্রার্থনা, সমস্ত প্রতিকূলতা যেন কাটিয়ে উঠতে পারেন ‘ফেলুদা’।