ভোলার মনপুরায় বনবিভাগের পঁচাকোড়ালিয়া বিটের আওতাভুক্ত বন থেকে রাতের আঁধারে কোটি টাকা মুল্যের গাছ পাচার হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। হুমকীর মুখে পড়ছে বন্য প্রানী। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। লোকবল আর প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে কর্তৃপক্ষ অসহায় হয়ে পড়ছে।
এই বনে কেওড়া, মেহগনি, কড়ই, কাকরা ইত্যাদি গাছ রয়েছে। এছাড়ও এই বিটের আওয়তা রয়েছে প্রকৃতির আরো এক সৌন্দর্যের প্রতীক চিত্রা হরিণ। কিন্তু বন উজার হওয়ায় বিলুপ্তীর পথে এই দ্বীপের হরিণ সহ নানা প্রজাতির বন্য প্রানী।
এই বনের বাহিরে থেকে যেমন দেখা যায় সৌন্দর্য ও চোখ ধাধানো মনোমুগ্ধকর পরিবেশ কিন্তু বনের ভীতরে গেলে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। কেটে নেয়া গাছের ডাল আর বড় গাছের গোড়া পরে আছে। দিন-দুপুরে জ্বালানীর জন্য গাছ কেটে কাঠ নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। রাতের আধাঁরে আস্ত গাছ কেটে নিচ্ছে বনদস্যুরা।
এছাড়াও সামাজিক বনায়নের গাছ রাতের আধারে কেটে নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক এই ঘন বন। গাছ চুরি বন্ধে পরিবেশবাদী সংগঠনসহ সচেতন মহল সোচ্ছার থাকলেও টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের। বনবিভাগের পঁচাকেড়ালিয়া বিট এর আওয়তা ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল রয়েছে ২ হাজার হেক্টর, এই ছাড়া সামাজিক বন রযেছে ৩০ কিলেমিটার। সামাজিক বনায়ন কমিটির সভাপতি নজির আহম্মেদ মিয়া জানান, কমিটি করার পর খাতা কলমে রয়েছে। এর কোন কার্যক্রম নেই।
বিট কর্মকর্তারা আমাদের সাথে কখনো যোগাযোগ করেনি তাই এমন অবস্থা বিরাজ করছে। গহীন এই বনায়ন রক্ষায় স্থানীয় মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি সহ বনের উপর নির্ভরশীলদের কর্মসংস্থান প্রয়োজন। এছাড়া বন কর্মী যাতে গোপন কোন হাত না রাখে তার উপরে কর্তৃপক্ষের নজদারী করা প্রয়োজন। পুরোপুরি গাছ চুরি বন্ধে আরেকটু সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ১৫ জনের বিপরীতে মাত্র ৪ জন লোকবল রয়েছে বলে জানান বিট কর্মকর্তা মোবারক। তিনি আরো জানান পর্যাপ্ত যানবাহন, আগ্নেঅস্ত্র ও প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় এই বিশাল বন সঠিকভাবে পাহাড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই দিকে সামাজিক বনায়নের গাছ চুরি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি সচেতন মহলের।