সিনেমার পর্দায় কখনো ভয়ংকর খলনায়ক, কখনো বা তিনি নায়ক। তবে তিনি চলচ্চিত্রের মানুষদের কাছে খুব জনপ্রিয় মানুষ। তিনি ডিপজল। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খল অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হলে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় তার শরীরের অস্ত্রোপচার সফল হয়। সে সময় হাসপাতালে উপস্থিত অভিনেতা জায়েদ খান ফোনে বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের অপারেশন সাকসেসফুল।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘সকালেই ডিপজলের অপারেশন করানোর কথা থাকলেও তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকেরা দুপুরের দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেন।
দুপুর দেড়টার দিকে শুরু হয় তার অস্ত্রোপচার। জায়েদ খান বলেন, ‘ভাই অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার আগে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। সে সময় আমরা সবাই মিলে তাকে সাহস দিয়েছি। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ডিপজল ভাইয়ের কোমরের টিউমার অপারেশন সফল হয়।’
তবে ডিপজল এখনো চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। তাকে রাতে কেবিনে আনার কথা ছিল। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জায়েদ খান জানান,
এটি খুব জটিল অস্ত্রোপচার নয়। টানা ৭ থেকে ১০ দিন বিশ্রাম নিলেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। হাসপাতালে অসুস্থ ডিপজলের পাশে জায়েদ খান ছাড়া আরও ছিলেন অভিনয়শিল্পী আলেকজান্ডার বো এবং ডিপজলের পরিবারের সদস্যরা।
ডিপজল বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ১২ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকেরা তাকে বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার পরামর্শ দেন। পরীক্ষায় তার শরীরে টিউমার ধরা পড়ে। এর আগে মার্চ মাস থেকে তিনি ঠান্ডার সমস্যায় ভুগছিলেন।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ডিপজল সিনেমা প্রযোজনাও করছেন। নেতিবাচক ও ইতিবাচক দুই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর দেশের বাইরে থাকায় ডিপজল ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
ডিপজল একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী। ১৯৮৯ সালে ‘টাকার পাহাড়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন ডিপজল। এরপর তার ‘চাচ্চু’, ‘দাদীমা’, ‘কোটি টাকার কাবিন’ ইত্যাদি ছবিগুলো তুমুল ব্যবসা সফল হয়।