দরিদ্র পরিবারগুলিতেই কি শুধু মহিলারা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন? আপনারা কি ভাবেন, শিক্ষিত পড়াশোনা জানা পুরুষরা কি স্ত্রীদের গায়ে হাত তোলেন না? আপনারা নিশ্চয় আপনাদের মেয়ে কিংবা বউমাকেও বলে এসেছেন যে- মা, এরকম তো আমাদের সঙ্গেও হয়েছে, দু’-একটা চড়-থাপ্পড় তো মেয়েদের সহ্য করতেই হয়! সেসব সহ্য করেছি বলেই না আজ সুখে-শান্তিতে ঘরকন্না করছি…।”
কথাগুলো খুব একটা অচেনা নয় আমাদের সমাজে। ‘মুখ বুজে সইতে হয়’ এমনটাই মেয়েদের শিখিয়ে এসেছে সমাজ। তবে আর নয়! এসব বলার কিংবা শোনার দিন ফুরিয়েছে। সমাজের অলিখিত প্রচলিত এই মন-মানসিকতার বিরুদ্ধেই কুঠারাঘাত করলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান (Jaya Ahsan)। অতিমারীর মতো সারা বিশ্বে ছেয়ে গিয়েছে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা। মেয়েরা মোটেই নিরাপদ নয়।
কখনও শ্বশুরবাড়িতে আবার কখনও বা নিজের বাড়িতেও শারীরিক কিংবা মানসিক নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে মেয়েদের। কেউ বা প্রতিবাদ করেন, আবার কেউ সেসব মুখ বুজে সহ্য করে নেন। সেই নীরিখে গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নারীদের সংখ্যা অনেকটাই কম। আর তাই জয়া আহসান মনে করিয়ে দিলেন যে, “অনেক হয়েছে, আর নয়! সুস্থ, আতঙ্কহীন জীবনের স্বপ্ন দেখুক নারীও।”গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে প্যান কমনওয়েলথ-এর প্ল্যাটফর্মে সরব হলেন জয়া আহসান।
এই ‘নো মোর’ ক্যাম্পেনিংয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বহু তারকাই শামিল এই প্রতিবাদ প্রচারে। কমনওয়েলথের সপ্তাহব্যাপী এই বিশেষ প্রচারে ৫৪টি সদস্য দেশ যুক্ত। সেখানেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন জয়া আহসান। নিজের দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত জয়ার মন্তব্য, নারীদের জীবনে রোজকার এই অত্যাচার বন্ধ হোক।
কত শত সুন্দর জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়ে। ভালবাসা আসুক। সুস্থ, আতঙ্কহীন জীবনের স্বপ্ন দেখুক নারীও। গোটা বিশ্ব থেকে নারীদের প্রতি অত্যাচারের কলঙ্কিত অধ্যায় মুছে যাক। আর তার জন্য একটাই মন্ত্র ধ্বনিত হোক- আর নয়!’’