করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, গণজমায়েত বন্ধ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে শুরু থেকেই বরিশাল জেলা প্রশাসন নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সরকার কর্তৃক গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসগুলো যাত্রী তুলছে কিনা এবং বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া কতটা মানা হচ্ছে তা মনিটরিং করার জন্য বরিশালের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এস,এম, অজিয়র রহমান-এর নির্দেশনায় আজ ৬ জুন বরিশালের নথুল্লাবাদ, কাশীপুর ও নতুন বাজার এলাকায় সকাল ১১ঃ০০ টা থেকে অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ জিয়াউর রহমান।
এসময় তিনি বিআরটিএ-এর পরদর্শক জনাব ইকবাল আহমেদকে সাথে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও নির্ধারিত ভাড়া তালিকা মেনে চলতে প্রতিটি বাস কাউন্টারে নির্দেশনা প্রদান করেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এসময় এক যাত্রীকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।এছাড়াও মাস্কবিহীন বেশ কয়েকজন যাত্রী ও পথচারীকে মাস্ক কিনতে বাধ্য করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী বেশ কয়েকটি বাস থামিয়ে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন ও মূল্যতালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কিনা তা পরিদর্শন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান। এসময় চট্টগ্রাম অভিমুখী অন্তরা পরিবহন এবং ঢাকা অভিমুখী জিএস ট্রাভেলস ও সাকুরা পরিবহন নামক দুইটি বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রী নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুন/তিনগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন। এতে দেখা যায় অন্তরা পরিবহন ও জিএস ট্রাভেলস-এ ৪০০/৫০০ টাকার ভাড়া প্রায় ১২০০/১৫০০ করে নেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে সাকুরা পরিবহনে ৯৬০ টাকার রশিদ দিয়ে ১২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অভিযোগ স্বীকার করে বাস সুপারভাইজার ও চালক এজন্য মালিকপক্ষকে দায়ী করেন। এমন অপরাধে উল্লিখিত ৩টি বাসকে বিভিন্ন অংকে মোট ১৯০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন র্যাব-৮ এর একটি টিম।