তথ্য গোপন করে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ায় জেকেজির ডা. সাবরীনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য মোহাম্মদপুর নির্বাচন কমিশন কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। পাশাপাশি তার দ্বিতীয় এনআইডিটি বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে- কীভাবে তিনি দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র পেলেন, তা জানতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। তার একটি এনআইডিতে জন্ম তারিখ ২রা ডিসেম্বর ১৯৭৮, অপরটিতে ২রা ডিসেম্বর ১৯৮৩ ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নাম ভিন্ন। বাবা-মার নামের কিছু অংশেও রয়েছে অমিল। জানা গেছে, প্রভাবশালী এক ব্যক্তির রেফারেন্সে তথ্য গোপন করে ডা. সাবরীনার দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়ার তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
অসৎ উদ্দেশ্যে তিনি দুবার ভোটার হয়েছেন বলে মনে করে ইসি। তবে ওই ঘটনায় ইসির কেউ জড়িত নয়। যদিও ওই রিপোর্ট গ্রহণ করেননি সচিব। আবারও রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম বলতে রাজি হননি। তবে জানা গেছে, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি যে সময় সুপারিশ করেছিলেন তখন সরকারের বিধিবদ্ধ একটি সংস্থার প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে তিনি এখন পদে নেই।
এর আগে কীভাবে তিনি দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র পেলেন, তা জানতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। তার একটি এনআইডিতে জন্ম তারিখ ২রা ডিসেম্বর ১৯৭৮, অপরটিতে ২রা ডিসেম্বর ১৯৮৩ ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নাম ভিন্ন। বাবা-মার নামের কিছু অংশেও রয়েছে অমিল। করোনা টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা চৌধুরীকে ১২ই জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়।
সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় নৈতিক স্খলনের জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসির তদন্তে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা করা হয়। তখন নিজ ঠিকানায় ভোটার হন ডা. সাবরীনা। পরে ২০১৬ সালে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবারও ভোটার হন তিনি। তখন অনেক তথ্য গোপন করেন। জমা দেন অসত্য তথ্য।
তবে প্রথমবারের তার আঙুলের ছাপ অস্পষ্ট থাকায় দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়ার সময় তা শনাক্ত করা যায়নি।