1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কার

  • সময় : রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০
  • ২৬৩

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ প্রায় ১৫ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করে।

১৫ বছর পরে তার সেই রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের মামলাটি সচল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। গত ১৭ জুন উইলিয়াম বার এক চিঠিতে এ এম রাশেদ চৌধুরীর আদ্যক্ষর ‘এ-এম-আর-সি’ সংক্রান্ত নথি পাঠাতে ইমিগ্রেশন আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন। মার্কিন সাময়িকী পলিটিকোর গত শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মামলাটি সচল করার পর রাশেদ চৌধুরীর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে বহিষ্কার করতে পারে। এর ফলে রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করাটা বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলের এ উদ্যোগে বেশ উদ্বিগ্ন রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবীরা।

মরিসন অ্যান্ড ফোয়েরস্টার্রসের সান ফ্রান্সিসকো দপ্তরের অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে রাশেদ চৌধুরীর মামলাটি পরিচালনা করেন মার্ক ভ্যান ডার হউট। তিনি মনে করেন,মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরই মধ্যে তাঁর মক্কেলের আশ্রয় লাভের বিষয়ে দেওয়া আগের রায় বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েই মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করছেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত অন্য খুনিদের মতো রাশেদ চৌধুরীও পঁচাত্তরের পর থেকে পরের দুই দশক বাংলাদেশি কূটনীতিক হিসেবে বিভিন্ন মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মাথায় ১৯৯৭ সালে জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়। ১৯৯৬ সালে ব্রাজিলে বাংলাদেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ছিলেন রাশেদ চৌধুরী। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তাঁকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়।

কিন্তু দেশে ফিরলেই শাস্তি অবধারিত বুঝতে পেরে রাশেদ চৌধুরী স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভিজিটর ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছার দুই মাসের মাথায় তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। দীর্ঘ এক দশকের প্রক্রিয়া শেষে ২০০৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুমতি পান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪