বরিশালে জেলা প্রশাসনের নিয়মিত মোবাইল কোর্টের অংশ হিসেবে মহানগরীর আগরপুর রোড এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন সিভিল সার্জন এর কার্যালয় এবং ডিবি পুলিশের সহযোগিতা আজ ২৫ জুলাই শনিবার দুপুর ২ টার দিকে দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস নামক একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। বরিশালের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান এর নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে দেখা যায় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট মোঃ মুজিবুর রহমান ও ডাঃ জাকির হোসেন খন্দকার এর স্বাক্ষরে আজকের তারিখে রুগীদের প্যাথলজি রিপোর্ট দিয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় তাদের দুজনের কেউই আজকে এ ক্লিনিকে আসেননি। ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা মুন মেডিকেল সার্ভিসেস এর সাথে তাদের সম্পৃক্ততা ও এ ধরনের স্বাক্ষর দানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে মালিকপক্ষকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা কোন জবাব না দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এসময় দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ রিঅ্যাজেন্ট ব্যবহার করে ল্যাবে বিভিন্ন মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে, বাস্তবে সেখানে কোন সার্টিফাইড টেকনোলোজিস্টই নাই; এমনকি হচ্ছে না কোন পরীক্ষাও। পাশাপাশি, এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির লাইসেন্স মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হলেও নতুন করে নবায়ন করা হয় নি, নবায়ন করার জন্য হয়নি কোন আবেদনও। সার্বিক বিবেচনায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ১৩(২) ধারায় দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস এর মালিকপক্ষ মোঃ হোসেন শাহীন ও শ্যামল মজুমদারকে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন পাশাপাশি তাদের সহযোগী ইব্রাহিম রানা এবং শ্যাম সাহাকে ৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এসময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়। অভিযানে প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুন্সী মুবিনুল হক এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন বরিশাল গোয়েন্দা পুলিশ (দক্ষিণ) এর ডিসি মনজুর রহমান-এর নেতৃত্বাধীন একটি টিম। অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জনস্বার্থ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।