1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানের মহান দায়িত্বে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই-ডিএমপি কমিশনার আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল সবজি, পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কমলেও, কমেনি আলুর দাম ঘোষিত হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ডিএমপি কমিশনার মোঃ সাজ্জাত আলীর দায়িত্বভার গ্রহণ নতুন পুলিশ প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক হবেন- প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষেই দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সংঘটিত হবে-আইন উপদেষ্টা

বরিশালের ইসলামী হাসপাতালে টেস্টের রিপোর্ট অদলবদল ও প্রতারণা, বিপাকে রোগীরা

  • সময় : শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০
  • ২২৬


বরিশাল নগরীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে রোগীদের টেস্টের রিপোর্ট অদলবদল করে ও টাকা নিয়েও সব রিপোর্ট না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে বিপাকে পরছে সাধারণ রোগীরা। বিষয়টি স্বীকারও করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


জানা গেছে, গত বুধবার (২২ জুলাই) ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিষেশজ্ঞ ডাঃ তানিয়া আফরোজকে দেখাতে যান ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভরতকাঠির বাসিন্দা মহিমা বেগম। তাকে ৭ টি টেস্ট করাতে বলা হয়। তিনি টেস্টের সব খরচ কাউন্টারে জমা দেন। পরে তিনি টেস্টগুলো করেন। এবং রিপোর্ট পেতে পেতে ডাক্তার চলে যাওয়ার কথা চিন্তা করে তিনি বাড়ি ফিরে যান।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) তিনি আবার আসেন ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখানোর জন্য এবং তিনি রিপোর্টগুলো সংগ্রহ করেন। তিনি রিপোর্টগুলো পেয়ে অবাক হলেন কারন রিপোর্টগুলো নিগার সুলতানা নামের এক গর্ভবতি রোগীর। এরপর তিনি কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে কেউ কোন ভ্রুক্ষেপ না করলে তিনি নিকটস্থ এক আত্মীয়কে ফোন করে ডেকে আনেন। এরপর পুনঃরায় তারা কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে বিষয়টি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন ঐ হাসপাতালের রিপোর্ট ডেলিভারির দায়িত্বে থাকা ফোরকান।

কিন্তু এখানেই শেষ নয় মহিমা বেগমের ৭ টি রিপোর্টের ১টি রিপোর্ট দিতে পারলেও বাকি ৬ টি রিপোর্ট দিতে পারেননি। এ নিয়ে আবারও তাদের জিজ্ঞেস করলে কোনো সদুত্তর না দিয়ে তারা বাকি পরীক্ষাগুলো করানোর জন্য মহিমা বেগমের রক্ত নেন।


মহিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, সে এই দুইদিন ধরে এই হাসপাতালে এসে এসব ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। এভাবে যদি একজনের রিপোর্ট আরেকজনকে দেয় এবং ৭ টি পরীক্ষার টাকা দেওয়ার পরে মাত্র ১টি পরীক্ষার রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা ও ভুল করা হয় তাহলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে। হাসপাতালের লোকজনের ভুলের জন্য বার বার আসতে যেতে হবে।

অপর এক ভূক্তভোগী নিগার সুলতানার বাবার সাথে কথা বলে জানা যায়- তাদেরকেও অন্য এক রোগীর রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তারা রিপোর্টগুলো নিয়ে রিপোর্ট ডেলিভারির দায়িত্বে থাকা ফোরকান হোসেনের কাছে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।


বিষয়টি সম্পর্কে হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগের দায়িত্বে থাকা মোঃ নাজিম উদ্দীনের সাথে কথা বললে তিনি সব দ্বায় স্বীকার করে বলেন, তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে- এই হাসপাতালে অহরহ এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।

সঠিক বিচারের অভাবে এভাবেই চলছে নগরীর এই ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল। সাধারন রোগীদের সাথে এমন প্রতারণার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪