আব্দুল্লাহ আল-মামুনের জন্মদিনের তারিখ নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে। উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে তাঁর জন্মদিন ১৩ জুলাই জামালপুরে। আবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাট্যদল ‘থিয়েটার’ বিভিন্ন সময় ১২ জুলাই জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে।
এ প্রসঙ্গে রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুনের জন্মদিন নিয়ে একটু খটকা আছে। কারণ মামুন নিজেই দুইটা জন্মদিন উদযাপন করেছেন। আমরা নাট্যদল থেকে ১২ জুলাই আবদুল্লাহ আল মামুনের জন্মদিন উদযাপন করেছি, আবার ১৩ জুলাইও দু-একবার উদযাপন অনুষ্ঠান করেছি।
আমরা তো আসলে মামুনের বর্ণাঢ্য কর্মযাত্রাকেই উদযাপন করতে চেয়েছি। তারিখের মারপ্যাচে কি যায় আসে? মামুন তো আমাদের মাঝে তাঁর কাজের মধ্য দিয়েই বেঁচে আছেন।’
আব্দুল্লাহ আল-মামুন একাধারে নাট্যকার, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। নাট্যসংগঠন ‘থিয়েটার’ এর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম তিনি। এই দলের জন্য ১৮টি মঞ্চনাটক লিখেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন ২৩টি মঞ্চনাটক।
তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি অনেক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সারেং বউ, দুই জীবন, সখি তুমি কার, এখনি সময়, বিহঙ্গ, দরিয়া পারের দৌলতি। মঞ্চে আবদুল্লাহ আল মামুনের উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে স্পর্ধা, মেরাজ ফকিরের মা,মায়িক মাস্টার,
এখন দুঃসময়, শপথ,ভাইসাব,সেনাপতি,শুবচন নির্বাসনে, ত্রিতিয় পুরুষ,এখনো কৃতদাশ, আয়নায় বান্ধুর মুখ, পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। টেলিভিশনে সুবচন নির্বাসনে, এখন দঃসময়, শপথ, মেহেরজান আরেকবার, সংশ্পতক, শীর্ষবিন্দু,জীবনছবি,উত্তরাধিকার এখনো দর্শকদের মনে দাগ কেটে আসে।
তিনি জীবনে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রথম জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার।শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে পেয়েছেন দু’বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তিনি ২০০০ সালে একুশে পদক পান।
২০০৮ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আব্দুল্লাহ আল-মামুন।