দুদক চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ত্রাণ এবং স্বাস্থ্যখাতে চিহ্নিত দুর্নীতিপরায়নদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, করোনার কারণে কমিশনের নিয়মিত অভিযান স্থগিত রাখা হলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও সক্রিয় করা হবে। রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত পূর্ণাঙ্গ কমিশনের এক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সভার দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের ১৮ জনের বেশি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
দু’জন কর্মকর্তা মৃত্যুবরণ করেছেন। এরমধ্যেও আপনারা (কর্মকর্তারা) মামলা করছেন, অপরাধীদের গ্রেফতার করছেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের তলব করছেন, জিজ্ঞাসাবাদ করছেন । এটা আপনাদের কৃতিত্ব। সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে বাসায় বসে অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
কমিশনের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৯ সালে কমিশনের ১১টি মানিলন্ডারিং মামলার ১১টিতেই অপরাধীদের সাজা হয়েছে। ২০১৮ সালেও শতভাগ মামলায় সাজা হয়েছিল। তিনি বলেন, দেশের অর্থ পাচার বন্ধ করতে হলে দ্রুততর সময়ে অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে অপরাধলব্ধ সম্পদ উদ্ধার করতে হবে।
এক্ষেত্রে বিএফআইউ, সিআইডি, জাতীয় রাজস্ববোর্ডসহ অন্যান্য সংস্থার মধ্যে নিবিড় সমন্বয় থাকতে হবে। সভায় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্র বাস্তবায়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাগণ।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এসব কর্মকর্তারা (ফোকালপয়েন্ট কর্মকর্তা)স্ব-স্ব মন্ত্রণালয় বা বিভাগের একটি দুর্নীতির খবরও কমিশনকে জানায়নি। সৎ, স্বচ্ছ ও দৃঢ়চেতা কর্মকর্তাদের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালসহ এ জাতীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি দুদকের গোয়েন্দা নজদারি আরো বাড়াতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়র বখ্ত, মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, মো. মফিজুর রহমান ভূঞা, মো. জহির রায়হান, মো.রেজানুর রহমান, সাঈদ মাহবুব খান ও মো. জাকির হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।