স্টাফ রিপোর্টার-
সূর্য উঠেছে। কাটতে শুরু করেছে কুয়াশার চাদর, কমতে শুরু করেছে শীতের দাপট। দীর্ঘ এক মাসে লালমনিরহাটের মানুষ সূর্যের দেখা পেয়েছেন মাত্র ৩ তিন দিন। উত্তরের আট জেলায়ও একই অবস্থা ছিল। তবে আবহাওয়া অধিদফতরের বেঁধে দেওয়া ২৮ জানুয়ারির তিন দিন পরে দুরবস্থা কাটলো।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ দশমিক ৬, লালমনিরহাটে ১৩, গাইবান্ধায় ১৩ দশমিক ৩, নীলফামারীতে ১১, দিনাজপুরে ১১ দশমিক ১, কুড়িগ্রামে ১২ দশমিক ৭, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩, রংপুরে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন প্রায় সবক’টি জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে ছিল।
রংপুর বিভাগীয় প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। দিনাজপুরের আশপাশের অঞ্চলে আকাশে শুধু মেঘ থাকবে। বৃষ্টির তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।’
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে শীতবস্ত্র বিতরণে অনিয়ম নজরে পড়েছে। বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি ও প্রান্তিক লোকজন বলছেন, শীতবস্ত্রের সংকট কাটছে না। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা শীতবস্ত্র পাচ্ছেন না। গরিবের ঘরে পৌঁছায়নি শীতবস্ত্র। পছন্দসই কিছু জনপ্রতিনিধির ভাগ্যে স্বল্প সংখ্যক কম্বল জুটেছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দেওয়া হচ্ছে এসব সরকারি কম্বল।
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) বারবার ফোন করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা পাঠালেও ফোন ধরেননি।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরে আলম সিদ্দিকি বলেন, ‘আমরা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। কেউ এলে আইডি কার্ড নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সেগুলো পাঠানো হয়। শীতবস্ত্র বিতরণে অনিয়ম সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।’