স্টাফ রিপোর্টার-
সারা দেশে কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন। এর মাঝেই আজ থেকে তিন দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। এ কারণে আরও বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে উত্তরাঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ।
কনকনে শীত, সঙ্গে ঘন কুয়াশা। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাজধানীসহ বেশিরভাগ জেলায় শীতের দাপটে বিপর্যস্ত জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন জেলার খেটে খাওয়া মানুষ।
দিনমজুররা বলছেন, প্রচন্ড ঠান্ডায় সকালে কাজে যাওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই রোজগারও কম হয়। গরম কাপড়ের অভাবে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছেন না তারা।
মাঘের শীতে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্রদের। শীতজনিত নানা রোগের প্রকোপে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। অসুস্থদের বেশিরভাগই বয়স্ক ও শিশু।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা বলছেন, তীব্র শীতে জ্বর-সর্দি লেগেই আছে। পেটের দায়ে এই শীতে কাজে বের হয়ে কাজ করতে হয়। বাড়িতে বসেও থাকা যায় না।
আকাশা মেঘলা থাকায় অনেক বেলা পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী তিন দিন যশোর কুষ্টিয়া খুলনা, পাবনাসহ অন্তত ৪০ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে জানান, আকাশে যেহেতু মেঘ ঘনীভূত হয়েছে, ১৭, ১৮ ও ১৯ তারিখ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। তবে ২০ তারিখের পর থেকে আবার তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান আরও জানান, দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মঙ্গলবার সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে মানুষ তাপমাত্রা যতটা না কম তার চেয়ে বেশি শীত অনুভব করছে।