1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের এবার চালু হলো দ্বিতীয় ইউনিট

  • সময় : সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩
  • ১২১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম ইউনিট চালুর আড়াই মাসের মাথায় দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে ভারতের ঝাড়খন্ডে নির্মিত আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র।

তবে এখনই সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে না। এর জন্য বাংলাদেশ অংশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন একবার বন্ধ করে আবার চালু করতে হবে। এতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের নির্মিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট আছে। প্রথম ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত মার্চে। এরপর গত ৬ এপ্রিল এটি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। আর দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলো রোববার রাত ১২টায়।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই দ্বিতীয় ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে আদানি। এর ফলে কেন্দ্রটি থেকে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। টানা ১৪ দিন ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর পিডিবির প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতে ৭২ ঘণ্টা পুরোপুরি চালু রেখে নির্ভরযোগ্যতা দেখা হয়। এ পরীক্ষার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সক্ষমতা যাচাই করা হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হাবিবুর রহমান আজ সোমবার বলেন, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত করে পুরো সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আনতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

আজ ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া লিমিটেডকে চিঠি দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালুর কথা জানিয়েছে আদানি। এতে বলা হয়, চুক্তি অনুসারে পরীক্ষার মাধ্যমে ঝাড়খন্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে।

আগামী ২৫ বছর ধরে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট করে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। পুরো সক্ষমতায় এ কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এর জন্য বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনটি তৈরি করার জন্য একবার বন্ধ করে আবার চালু করতে হবে। ঈদের ছুটির সময় বিদ্যুৎ চাহিদা কমে যাবে। এর মধ্যে কোনো একটা সময়ে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে সঞ্চালন লাইনটি প্রস্তুত করা হবে।

বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সঞ্চালন লাইন তৈরি হলেও উপকেন্দ্রের কাজ শেষ হতে দেরি হয়ে যায়। এ কাজটি করছে পিজিসিবি। একটি অস্থায়ী উপকেন্দ্র ব্যবহার করে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গত ১৬ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এরপর মাঝেমধ্যেই ১০০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। এরপর উপকেন্দ্র তৈরির পর ৬ মার্চ থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করেছে পিডিবি। চুক্তি অনুসারে আদানি গ্রুপের কোম্পানি আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনে নেবে পিডিবি। তবে উৎপাদন শুরুর আগেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লার দাম নিয়ে আপত্তি তোলে পিডিবি। এ নিয়ে আদানির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে পিডিবি। আদানির প্রতিনিধিদল প্রতিশ্রুতি দেয়, পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দামের চেয়ে তাদের কয়লার দাম বেশি হবে না।

বা বু ম / অ জি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪