বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, পরের দিনই বেড়ে যায়। এমন অভিযোগ করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটে জড়িত কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন।
চুন্নু বলেছেন, বাজার একটু নিয়ন্ত্রণে নেন। বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, পরের দিনই বেড়ে যায়। এটা কোনটা, সিন্ডিকেট, উনি কি সিন্ডিকেটে জড়িত কি না বিষয়টা দেখেন। কারণ উনি যখনই বলেন কমাবেন, কন্ট্রোল করবেন, তখনই দাম বৃদ্ধি হয়ে যায়। আসলে বাজারে নিয়ন্ত্রণটা লাগবে, নিয়ন্ত্রণ নাই।
রোববার (২৫ জুন) রাতে সংসদে অর্থবিল পাসের সময় আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব বথা বলেন। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এসময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সরকার বিশাল ঘাটতির বাজেট করেছে। এ বিশাল ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারকে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিতে হবে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে দেবে, সেই টাকা ব্যাংক থেকে সরকারকে দেবে। টাকা ছাপানো হলে দুটি জিনিস হবে। সরকার টাকা নিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঋণ পাবে না। কর্মসংস্থান হবে না। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে।
ব্যাংক লুট হয়েছে উল্লেখ করে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, শ্রীলঙ্কায় খেলাপি ঋণ ১১ শতাংশ। বাংলাদেশে ৯ শতাংশ। এটি সরকারের হিসাব। আইএমএফের হিসাব ধরলে আমাদের খেলাপি ঋণ ৩ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ বর্তমান বাজারের অর্ধেক। সরকারি হিসাবে অবলোপনসহ খেলাপি ঋণ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকে স্বাধীন পরিচালক দেওয়া হয়। মালিকপক্ষ মামাতো ভাইকে স্বাধীন পরিচালক করে তার মাধ্যমে ঋণ পাস করিয়েছে। যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাক্ষর করে দিয়েছে। ব্যাংক থেকে বিপুল ঋণ নেওয়ার জন্যই জনগণের উপর অন্যায় করের বোঝা চাপানো হয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের উদীয়মান দেশের কর আর উন্নত বিশ্বের কর একই হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি আর অশুভ প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে চলছে। এ সরকার ওয়াদা করেছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দুর্নীতি এখন নীতিতে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এখন শূন্য। জিরো টলারেন্স হয়নি।
বা বু ম / অ জি