1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

হাওরে ৫ হাজার মেট্রিক টন করে ধানের সাইলো করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী

  • সময় : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩
  • ২৩৮

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘হাওরে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন করে ধানের সাইলো (সংরক্ষণাগার) করা হবে। বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব হবে না, দুর্ভিক্ষও হবে না গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আপনারা এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে চলমান বোরো সংগ্রহ–২০২৩ উপলক্ষে জেলার খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আমলে আমরা দেখেছি গম এবং চাল জুন মাসে মজুত ৪, ৫, ৬ লাখ মেট্রিক টন; সর্বশেষ ৮ লাখের কিছু বেশি। আর আমাদের আমলে কোনো সময় ১৬ বা ১৮ লাখের নিচে থাকে না। আমাদের রাখার সক্ষমতা আছে ২১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু গতকালকেই আমাদের মজুত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, ‘গম ও চাল আরও মজুত বেশি রাখার জন্য সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টনের সাইলো বানানো হচ্ছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এই সাইলোগুলো উদ্বোধন করা যাবে। তা ছাড়া কৃষকের সুবিধার জন্য হাওরে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন করে ধানের সাইলো করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ভেজা ধান কৃষক ধানের সাইলোতে নিয়ে যাবেন। একেকটা সাইলোতে ড্রায়ার থাকবে চারটি করে। প্রতিটি ড্রায়ারে ঘণ্টায় ৩০ মেট্রিক টন করে ধান ঝাড়াই, বাছাই, শুকিয়ে (সংরক্ষণাগার) ঢুকে যাবে। সেখান থেকে রসিদ নিয়ে ব্যাংকে চলে যাবেন ও টাকা নিয়ে বাড়িতে চলে যাবেন কৃষক। ২০০টি সাইলো করার চিন্তাভাবনা আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাইলট স্কিম হিসেবে ৩০টি করার অনুমোদন দিয়েছেন।’

আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকার ১৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ও চাল কিনবে বলে জানান সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা। এ ছাড়া গম ৩৫ টাকা করে কেনা হবে। ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ১২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার প্রমুখ। মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভূঁইয়া।

বা বু ম / অ জি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪