1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়ে আনন্দে ভাসছে ঠাকুরগাঁওবাসী

  • সময় : মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
  • ২৩৫

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা

সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে ঠাকুরগাঁওবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণায় আনন্দে ভাসছে ঠাকুরগাঁওবাসী।

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্তভাবে স্থাপনের অনুমোদন দেওয়ায় উচ্ছসিত ঠাকুরগাঁও জেলার মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন সম্পন্ন হলে উচ্চ শিক্ষার দার খুলে যাবে, বাড়বে শিক্ষার হার। সারাদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে আসা শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হবে এ জেলা।

অনুভূতি জানাতে গিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনতোষ কুমার দে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা তো আমাদের জন্য বড় একটি আনন্দের বিষয়। আমাদের অনেক দিনের প্রত্যাশা ছিলো ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় হবে সেটা আজ আমাদের খুশির বার্তা নিয়ে আসছে। আমাদের দলীয় নেতা বার্তা নিয়ে আসছে ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় হবে, ঠাকুরগাঁও শিক্ষার দিক দিয়ে এগিয়ে যাবে। এটা আসলে ঠাকুরগাঁওবাসীর জন্য বিশাল ব্যাপার। আমিও সবার মতো অনেক খুশি।

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহা. সাদেক কুরাইশী বলেন, এটা তো আমাদের জন্য আনন্দের খবর। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ২৯ এ মার্চ ঠাকুরগাঁওয়ের জন সবাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য যে সমস্থ বিষয় উপস্থাপন করেছিলাম। ঠাকুরগাঁওবাসীর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এটাকে ঘোষণা দিয়েছিলেন। ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগের দুটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হয়েছে। আমি দুটি কাউন্সিলে বক্তব্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানিয়েছি। তারপর আজকে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল জলিল বলেন, ঠাকুরগাঁও একটি অবহেলিত এলাকা। এই এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জেলাবাসীর বহুদিনের দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করেছেন এতে শিক্ষা খাতে ব্যাপক বিস্তৃত লাভ করবে। এটার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের। তিনি নিরন্তর পরিশ্রম করেছেন। তারই ফসল আজ ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার এবং জনগণের অনুভূতি অনেক ভালো। কেন না, ঠাকুরগাঁও এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হবে। আর লেখাপড়ার মান অনেক বেড়ে যাবে। আমিও একজন শিক্ষক ছিলাম। আমার ধ্যান ধারণা ছিল এলাকাটাকে শিক্ষা নগর হিসেবে গড়ে তোলা। আমরা অত্যন্ত খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনের খবর জানার পর নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক চৌধুরী।

তিনি লিখেছেন, এই অর্জনের জন্য ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের সকল নেতাকর্মী ও ঠাকুরগাঁও বাসীকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। ঠাকুরগাঁওবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। ঠাকুরগাঁওবাসী এই ঋণ কখনো ভুলবে না। “ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়” এর নামে সারা বিশ্ব চিনবে ঠাকুরগাঁওকে। শিক্ষার শহর হবে হামার ঠাকুরগাঁও।

বা বু ম / অ জি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪