1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তীব্র তাপ প্রবাহের সাথে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ নাগরিক জীবনে সর্বত্রই পুলিশের অবদান রয়েছে- ডিএমপি কমিশনার ইউক্রেন-ইসরায়েলের সহায়তা বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর আবারও সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর সম্পন্ন চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব নেতাদের নিকট প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ-ওবায়দুল কাদের

এফআইআরে ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায়কে ফাঁসিয়েছে পুলিশ

  • সময় : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, পঞ্চগড় :

পঞ্চগড়ে কলেজপড়ুয়া মেয়ের ‘শ্লীলতাহানির বিচার না পেয়ে’ এক বাবার আত্মহত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রধান অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, দুই মামলার এজাহারে তাকে আসামি না করা হলেও একই তারিখে পুলিশের এফআইআরে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পঞ্চগড় সদর থানায় ধর্ষণ এবং আটোয়ারী থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলাটি করা হয়।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন উপজেলা সদরের মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ চন্দ্র রায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি রাতে অভিযুক্ত পলাশ চন্দ্র বর্মন ওই কলেজছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। বাকি তিন আসামি তাকে সহযোগিতা করেন। ঘটনার সময় ভুক্তভোগী ছাত্রীর চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে পলাশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পলাশ তাদের মারপিট করে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে আহত অবস্থায় কলেজছাত্রীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বিচার দাবি করে ২৪ জানুয়ারি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। বুধবার (১ ফেব্রয়ারি) সালিশ বৈঠক আহ্বান করেন চেয়ারম্যান। তবে বৈঠকে প্রধান অভিযুক্ত পলাশ উপস্থিত না হওয়ার খবরে কোনো পক্ষই আসেনি।

ঘটনার ১৫ দিন পরও কোনো বিচার না পেয়ে আত্মসম্মান রক্ষায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ছাত্রীর বাবা। বুধবার রাতে একটি গাছে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মামলার বাদী কলেজছাত্রীর ভাই বলেন, ১৭ জানুয়ারি ঘটনার পর প্রথমে চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে বলা হয়। এরপর ২৪ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ দেই। চেয়ারম্যান আমাদের নোটিশের মাধ্যমে ১ ফেব্রুয়ারি ইউপি কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বললেও প্রধান অভিযুক্ত পলাশ উপস্থিত হবে না বলে আমরা খবর পাই। পরে আত্মসম্মান বাঁচাতে আমার বাবা আত্মহত্যা করেন।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের দাবি, বাদীর করা দুই মামলার এজাহারে তাকে আসামি করা না হলেও পুলিশি এফআইআরে তাকে আসামি করা হয়েছে। বাদীর করা দুই মামলার আসামিরা হলেন ওই ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি এলাকার পলাশ চন্দ্র বর্মণ (২৫), তার বাবা শ্যামল চন্দ্র বর্মণ (৪৬), একই এলাকার ভবেন বর্মণ (৫০) এবং কাজল বর্মন (২৩)।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২৪ জানুয়ারি আমাদের দেওয়া অভিযোগ আর ৪ জুন করা অভিযোগ সম্পূর্ণ আলাদা। আমাকে দেওয়া অভিযোগে ধর্ষণের কোনো কথা ছিল না। হাত ধরে টানাটানির মাধ্যমে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছিল। ধর্ষণের বিষয়টি থাকলে আমি বৈঠকে সুরাহার কথা না বলে থানায় খবর দিতাম। এছাড়া ঘটনার পর থেকেই আমি তাদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এজন্য দুই মামলায় আমাকে আসামি করা হয়নি। কিন্তু পুলিশ কোনো তদন্ত না করেই বাদীর অভিযোগ দাখিলের একই দিন এফআইআরে আমাকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থল সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খোঁজ নেন এই প্রতিবেদক। স্থানীয় ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিবেদককে অভিযোগ করে বলেন, মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমলাহার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র রায়। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ওরফে আনারস বাবুল, সাইফুল আলম সহ কয়েকজন। বিপুল সংখ্যক মানুষের সমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হন জ্যোতিষ চন্দ্র রায়। তার এই বিজয় কোন ভাবেই মানতে পারছিলেন না পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বীরা। এই ঘটনায় মূল বিষয় বাদ দিয়ে মামলার বাদীকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে পুলিশের উপর প্রভাব বিস্তার করে জ্যোতিষ চন্দ্র রায়কে ফাঁসাতে বিরুদ্ধে কাজ করছে প্রতিপক্ষরা। এছাড়াও প্রভাবিত না হয়ে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা বলেন, এজাহারে আসামির তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যানের নাম না থাকলেও গর্ভাংশে তার নাম রয়েছে। এজন্য এফআইআরে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন) এসএম সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি মামলায় প্রথমে অভিযোগ আকারে এজাহার দাখিল করা হয়। এজাহারের বিস্তারিত দেখে এবং তদন্ত করে পুলিশ অভিযুক্তের তালিকা করে। দীর্ঘ তদন্তে নির্দোষ হলে অনেকের নাম বাদ দিতে হয়। আবার এজাহারে নাম নেই অথচ তদন্তে অনেককে আসামি করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বা বু ম/ সোহেল রানা

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪