কুবি প্রতিনিধিঃ
চলমান সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন রাস্তায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কোন ধর্মের ভিত্তিতে নয়। সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পেরেছিল। অন্যায়-অত্যাচার যেখানে থাকবে সেখানে আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করবো।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলা উদ্দেশ্যপ্রণিত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে অপশক্তিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এর তীব্র নিন্দা জানায়। যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব বলেন, ‘১৯৪৭ সালে এই সাম্প্রদায়িকতার গোড়াপত্তন হয়। ১৯৯১,২০০১ সালের ঘটনায় আমি প্রত্যক্ষদর্শী। আর ২০২১ এ কি ঘটছে আমরা সবাই দেখেছি। কুমিল্লার ঘটনার পর সরকার থেকে কয়েকজনকে ধরার পরও কীভাবে পর পর সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবার সহিংসতা ছড়ায়? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়েছে কিন্তু এরপরও কে বা কারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে তা খুব দ্রুত বের করার আহ্বান জানাই।’
ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, ‘একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোনো সময় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার মত ঘটনা ঘটাতে পারে না। তাহলে তারা কারা সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সমাজে একজন আধ্যাতিক নেতা থাকলে তাকে যেমন ধারণ করতে হবে তেমনি একজন উগ্রবাদী নেতা থাকলে তাকেও ধারণ করতে হবে এবং মূল সমস্যার জায়গায় মেরামত করতে হবে।’