1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানের মহান দায়িত্বে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই-ডিএমপি কমিশনার আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল সবজি, পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কমলেও, কমেনি আলুর দাম ঘোষিত হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ডিএমপি কমিশনার মোঃ সাজ্জাত আলীর দায়িত্বভার গ্রহণ নতুন পুলিশ প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক হবেন- প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষেই দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সংঘটিত হবে-আইন উপদেষ্টা

করোনাকালে আয় না থাকলেও বেরেছে ব্যয়, দুশ্চিন্তায় মধ্যবিত্তরা

  • সময় : শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০
  • ২৮৭

করোনাকালে বেড়েছে সংসারিক খরচ। দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে মধ্যবিত্তরা। দেশের এমন পরিস্থিতিতে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি, কষ্টে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। আবার টানা তিন মাসের বেশি সময় কর্মহীন হয়ে থাকায় জমানো টাকাও ভেঙে খেয়েছেন অনেকে। এতে করে বর্তমানে হাত খালি অবস্থায় রয়েছে শহরে বাস করা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। এরমধ্যে দুশ্চিন্তা আরো দ্বিগুণ বেড়েছে মাস শেষে ঘর ভাড়ার টাকা নিয়ে।

স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিটি ঘরেই বেড়েছে দৈনন্দিন জীবনের অতি প্রয়োজনীয় খাবারসহ নিত্যপণ্যের খরচ। বেড়েছে ওষুধপত্রের খরচও। এতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ মানুষ। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে অনেক মানুষ দিন কাটাচ্ছে কর্মহীন অবস্থায়।নগরীতে বসবাহ করা এসব মানুষের প্রতিদিনের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দামও। এতে এসব সাধারণ মানুষের কষ্ট আরো বেড়ে যায়।

নগরীতে বসবাস করা কিছু বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালে ওষুধপত্রসহ খাবারের খরচ নিয়ে খুব কষ্টে আছেন। আগে সংসারে এতো টাকার ওষুধপত্র খরচ লাগতো না। আবার খাবারও ছিল একটা নিদিষ্ট পরিমাণ টাকার মধ্যে। যারমধ্যে সংসারের অন্যান্য খরচও থাকতো। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের ভয়ে প্রতিদিনের খাবারে এসেছে ভিন্নতা।

প্রতিদিন রং চা, এতে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর দাম বেড়েছে। ওষুধপত্র, ফলমূলসহ করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষা রাখার জন্য নানান প্রতিরোধমূলক জিনিসপত্র কিনতে ব্যয় হচ্ছে অনেক টাকা। এসব প্রতিরোধমূলক জিনিসপত্রগুলোও ব্যয়বহুল। দেশের এমন পরিস্থিতিতে অনেকের কাজ নেই, আবার অনেকে কাজে যোগ দিলেও সঠিকভাবে পাচ্ছে না বেতন।সরেজমিন জরিপে দেখা যায়, বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের পৌর শহরে বসবাস করা প্রায় অনেক বাসিন্দাই ভাড়াটিয়া।

যারা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে এখানে বসবাস করছেন। এদের সবাই চাকরি, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও নানান রকম কাজের জন্য এখানে বাস করছেন। এসব মানুষদের মধ্যে বর্তমানে প্রায় সবাই এমন দুর্বিষহ দিন অতিবাহিত করছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবীনগর আদালত পাড়ায় ভাড়া থাকেন এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘আমি ছোট একটা চাকরি করি। আজ তিন মাস আমার চাকরি নেই। এতো দিন জমানো টাকা ভেঙে খেয়েছি। এখন তাও ফুরিয়ে এসেছে। বাজারে সব কিছুরই দাম বাড়তি। এদিকে নেই আয়। আগেতো এতো জিনিস লাগতো না।

এখন করোনার কারণে ওষুধ খরচ বেড়েছে, বেড়েছে নানান রকম খাবারের খরচও। আগে সারাবছর মিলে আধা কেজি আদাও লাগতো না আর দামও ছিল কম। এখন সপ্তাহ ঘুরতে ১ কেজি আদা শেষ হয়ে যায়। এখন এসব খেয়ে শরীর সুস্থ রাখছি। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমাদের মত মধ্যবিত্তরা বেঁচে থাকার পথ হারিয়ে ফেলবে।

কিন্তু আমরা বাঁচতে চাই পরিবার নিয়ে। আমাদের দিকে সরকারের সুনজর দেয়া দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে অনেক রকম সহযোগিতার কথা শুনছি। কিন্তু আমরাতো এখনো পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাইনি। এ দুর্যোগের সময়ে এক টাকার সহযোগিতা পেলেও আমাদের মত মধ্যবিত্তের উপকার হয়’।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪