আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে গণহারে টিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১২টি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী কেন্দ্র ছাড়াও পৌরসভা কার্যালয়সহ ১০টি ইউনিয়নে দশটি অস্থায়ী কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলবে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত। প্রতিটি কেন্দ্র তিনটি বুথে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। তবে পৌরসভা কার্যালয় কেন্দ্রে মানুষের ভীড় বেশি থাকায় ৬০০ টিকা শেষ হলে এখানে আরো ৪০০টিকা দেওয়া হয়েছে। পৌরসভা কেন্দ্রে মোট এক হাজার টিকা দেওয়া হয়েছে। বোয়ালমারীতে রান টেস্ট হিসাবে শনিবার মোট ৭ হাজার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বোয়ালমারী পৌরসভা কার্যালয়ে সকাল ৯টায় গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মো. সেলিম রেজা লিপন মিয়া ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খালেদুর রহমান। উপজেলার প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কামরুল সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ বাকের ইদ্রিসের নেতৃত্বে কাজ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল করীম শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জানান, উপজেলার স্থায়ী কেন্দ্র হাসপাতালসহ ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা কেন্দ্রে ৬০০ করে মোট ৪ হাজার ২০০ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রায় সব জায়গায় টিকা নিতে আসা জনসাধারণের আগ্রহ দেখা গেছে।
বোয়ালমারী পৌরসভা কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা উপজেলার ময়না গ্রামের কানিজ ফাতেমা শেখ হাসিনা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থসেবায় সফল। টিকা নেওয়ার পর থেকে আমি সুরক্ষা পাবো। একইসাথে আমার পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে।
শনিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ৬ দিনের ক্যাম্পেইনের কথা থকলেও আপাতত একদিন (৭ আগস্ট) ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সাতদিন বন্ধ থাকার পর আবার ১৪ আগস্ট থেকে গণহারে টিকা কার্যক্রম ক্যাম্পেইন চালু হবে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলমান টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।