কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বিশ্বে প্রথম অনুমোদিত জেনেরিক ওষুধ রেমডেসিভির বাজারজাত শুরু করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।এর বাণিজ্যিক নাম ‘বেমসিভির’। আপাতত সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এ ঔষধ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এ এ্যান্টি-ভাইরালের প্রথম ব্যাচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে হস্তান্তর করেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।এই অ্যান্টিভাইরাল ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীরা খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে বলছে মার্কিন গবেষকরা।
করোনা রোগীদের দ্রুততম সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বীকৃত ওষুধ রেমডিসিভির জেনেরিক সংস্করণের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিশ্বে প্রথম সাফল্য দেখাল বেক্সিমকো ফার্মা। বেমসিভির নামে উৎপাদিত ঔষধটি রোগীর রক্তনালীতে ইঞ্জেকশন হিসেবে প্রয়োগ করা হবে।ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি, আছে গুনগত মান নিশ্চিত করার উন্নত ব্যবস্থাও।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বেমসিভির’ প্রথম ব্যাচ হস্তান্তর করা হয়। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন ওষুধটি তুলে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে।এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, বিশ্বের নানা দেশে করোনা রোগীর চিকিৎসায় এ ওষুধের ভাল ফল মিলেছে।
বাংলাদেশে ৬ প্রতিষ্ঠানকে ওই ওষুধ তৈরির অনুমোদন দেয়া হলেও বেক্সিমকো ফার্মাই প্রথম বাজারজাতকরণের আগে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যোগ্যতা প্রমানে সক্ষম হয়। প্রয়োজনীয় ওষুধ রোগীর জন্য সরবরাহের সক্ষমতা বেক্সিমকো ফার্মার রয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান।
রেমডেসিভির প্রথমে ইবোলা ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। একই গোত্রের হওয়ার কারনে করোনাভাইরাসসহ কিছু ভাইরাসের পুন:উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে এ ওষুধ অকার্যকর করে।এ কারণে কোভিড-১৯ রোগের সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে রেমডেসিভির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ব্যবহার হচ্ছে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে।