আফ্রিদা জাহিন:
রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি বিভাগে একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। একই সময়ে করোনা সংক্রমিত আরও ৬৭১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গেল ১১ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারাল ১৫২ জন।সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দিনাজপুর জেলার ছয়জন, রংপুরের পাঁচজন, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজন, পঞ্চগড়ের তিনজন ও কুড়িগ্রাম জেলার একজন রয়েছেন।একই সময়ে বিভাগে ১ হাজার ৯৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ২২৯, রংপুরের ১৩৪, ঠাকুরগাঁওয়ের ১২০, নীলফামারীর ৪৫, লালমনিরহাটের ৪৩, কুড়িগ্রামের ৩৫, পঞ্চগড়ের ৩৩ ও গাইবান্ধা জেলার ৩২ জন রয়েছে। বিভাগে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে রোববার (১০ জুলাই) পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোত বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।নতুন করে মারা যাওয়া ১৮ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭১ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ২২৯ জন, রংপুরের ১৩৪, ঠাকুরগাঁওয়ের ১২০, নীলফামারীর ৪৫, লালমনিরহাটের ৪৩, কুড়িগ্রামের ৩৫, পঞ্চগড়ের ৩৩ ও গাইবান্ধার ৩২ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১৯ জন।এ ছাড়া নতুন শনাক্ত ৬৭১ জনসহ বিভাগে ৩৩ হাজার ৩২৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুুর জেলায় ১০ হাজার ৩৫৬ জন, রংপুরে ৭ হাজার ৩১৯ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ হাজার ৬৮০ জন, গাইবান্ধায় ২ হাজার ৭২৫ জন, নীলফামারীতে ২ হাজার ৪৩২ জন, কুড়িগ্রামে ২ হাজার ৩৪০ জন, লালমনিরহাটে ১ হাজার ৮৫৫ জন এবং পঞ্চগড়ে ১ হাজার ৬২২ জন রয়েছেন।করোনার সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই।