মোঃনয়ন সরদার শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি :
যশোর সীমান্তের শার্শা উপজেলার গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিরা শহর অঞ্চলের কঠোর অবস্থানে থাকলেও গ্রাম অঞ্চলের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, সোমবার (২১ জুন) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলা থেকে মোট পাঠানো ৮৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৩ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। এনিয়ে এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় ৬৯০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
মহামারির প্রথম ধাপে কেবল বেনাপোল ও নাভারন এলাকায় কোভিড রোগী পাওয়া গেলেও দ্বিতীয় ধাপে তা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। যশোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে শার্শা উপজেলার তিনজন মারা গেছেন। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের।
প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে অনেকেরই ৮ থেকে ১০ দিন সর্দি-কাশি-জ্বর-গলাব্যথার মতো উপসর্গ থাকলেও তারা কোভিড পরীক্ষা করাতে অনীহা দেখাচ্ছেন। ফলে শনাক্তের প্রকৃত সংখ্যাও জানা যাচ্ছে না। করোনা ঠেকাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে ১২ দফা কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরদিন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের দেওয়া আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে কড়াকড়ি বাড়ানোর কথা বলা হয়।
শার্শার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানিয়েছেন, জেলা কোভিড প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তে ১৬ জুন থেকে সাত দিনের জন্য বেনাপোল বাজার ও শার্শা সদর ইউনিয়নকে উচ্চঝুঁকির এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
তবে বেনাপোল ও নাভারনে দোকানপাট, শপিং মল, বিপণিবিতাণ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও সরেজমিনে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। উপজেলার বাজারগুলোতে বিধি-নিষেধ মানছে না সাধারণ মানুষ।