বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর ২টি ওয়ার্ডকে পুরোপুরি লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুর ৩টায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনলাইনে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম ধাপে নগরীর ১২ নং ও ২৪ নং ওয়ার্ডকে পুরোপুরি লকডাউন করার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সকল রেড জোন চিহ্নিত ওয়ার্ডকে লকডাউনের আওতায় আনা হবে। লকডাউন শুরুর তারিখ খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার রাতে প্রেরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।সরকার শর্তসাপেক্ষে দেশের সকল কার্যাবলি এবং জনসাধারণের চলাচলে জোন ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আক্রান্তের সংখ্যার হার বিবেচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের অন্যান্য জায়গার মত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭ টি ওয়ার্ড রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত ওই সভায় যুক্ত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অমিতাভ সরকার, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার), বরিশাল ডি.জি.এফ.আই পরিচালক কর্ণেল জিএস মোঃ বাকের, শেখ হাসিনা সেনানিবাস ৬২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল ফয়সাল আবেদী হাসান, র্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার আতিকা ইসলাম বিপিএম, বরিশাল এন.এস.আই যুগ্ম পরিচালক অসিত বরন সরকার, বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশাল শাখার জি.এম স্বপন কুমার দাস এবং বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের যুগ্ম পরিচালক মোঃ আজমল হুদা মিঠু সরকার।
বিসিসির রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলোতে জনসাধারণের চলাচল ও সার্বিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক লকডাউন করার বিষয়, লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্য সেবা ও জনসচেতনতা, নৌপথ ও সড়ক পথে যানবাহন চলাচলের সীমাবদ্ধতা, লকডাউন এলাকার জনগণের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়া সহ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।