বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি:
যশোরে ভারত ফেরতদের মাঝে কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতিদিন বাড়ছে। যা বড় ধরণের ঝুঁকি ও আতংকের কারণ। বুধবার জেলায় নতুন করে শনাক্ত ৪৭ জনের মধ্যে ভারত ফেরত রয়েছেন ২ জন। তারা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এই নিয়ে ভারত ফেরত মোট ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। ইতিমধ্যে ১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরণ মিলেছে।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারে ২০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩ জন ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৩ জনের র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ৪ জন পজেটিভ হয়েছেন। অর্থাৎ ২২৫ জনের মধ্যে ৪৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। সেই হিসেবে আক্রান্তের হার হলো শতকরা ২১ দশমিক। নতুন শনাক্ত ৪৭ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৭ জন, ও অভয়নগর উপজেলায় ১০ জন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন ভারত ফেরত রয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে তাদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের রেডজোনে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, বুধবার পর্যন্ত যশোরে ভারত ফেরত বাংলাদেশীরা হলো ৪ হাজার ২শ’ ৩৫ জন। এরমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন। এরমধ্যে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন। আর সংক্রমণ নিয়ে দেশে ফেরেন ১৩ জন। এছাড়া মোট ১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরণ পাওয়া গেছে। তাদের ৮ জন ভারত ফেরত না। তারা স্থানীয়ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, জেনোম সেন্টারে যশোরের ৪৩ জন ছাড়াও মাগুরা জেলার ৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জন ও নড়াইল জেলার ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছে। সব মিলিয়ে তিন জেলার মোট ২৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জন পজেটিভ ও ১৮৭ জনের নেগেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, ২ জুন পর্যন্ত যশোর জেলায় ৭ হাজার ৮৭ জন কোভিড-১৯ নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৯১ জন নারী পুরুষ। এর মধ্যে যশোরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। আর ঢাকায় ৬ জন খুলনায় ৫ জন ও সাতক্ষীরার হাসপাতালে মারা গেছেন ১জন। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, ভারত ফেরতদের মাঝে প্রতিদিন আক্রান্ত বাড়ছে। যা এখন বড় ধরণের আতংকের কারণ মনে হচ্ছে। সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানান তিনি।