মোঃ সাইফ উদ্দিন রনী, কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান:
ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে কোয়ারেন্টিন পালন ছাড়াই কুমিল্লায় চলে এসেছেন ৫ জন। তারা সবাই কুমিল্লার বাসিন্দা। কুমিল্লায় আসার পর র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে তারা নেগেটিভ আসলেও তাদেরকে আইসোলেটেড করা হয়েছে; আবারও তাদের করোনা টেস্ট করানো হবে। গত ৫দিন আগে কুমিল্লায় এসে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিজেরাই কোয়ারিন্টেনের জন্য আবেদন করেন। তারা বর্তমানে কুমিল্লা সদর হাসপাতালের আইসোলেটেড অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে আছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য দেন কুমিল্লা সিভিল সার্জনর মীর মোবারক হোসাইন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, অন্তত ৭দিন আগে ভারত থেকে বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুই দিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে তারা কুমিল্লায় আসে। যদি তাদের মধ্যে কেউ করোনার বাহক হয়ে থাকতে তবে তারা কত জায়গায় ভাইরাস ছড়াতে পারতেন। আমরা আশা করি বন্দরগুলোতে যদি সঠিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হবে। না হয় ভারত থেকে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ভারতীয় ধরনের করোনা ছড়ানোর আশংকা খুব বেশি। তিনি আরো বলেন যেখানে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক সেখানে তাদের ২ দিন রেখে কিভাবে ছেড়ে দিল।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আইসোলেশনে থাকা এই ৫ জন চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। তাদের ২ জন ইমাম হোসেন ও তানজিনার বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার গালিমপুরে এবং লাঙ্গলকোটের একই পরিবারের মনির বাচ্চু ও তাদের এক শিশু সন্তান রয়েছে। মার্চে তারা চেন্নাই ও বেঙ্গালোরে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলো। ২৮ এপ্রিল বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে আসার পর ২ দিন থেকে ১ মে পাইভেটকারে রওনা দিয়ে ৩ মে কুমিল্লায় আসে। আসার পরই সেচ্ছায় কুমিল্লা সদও হাসপাতাল নওয়াব ফয়জুন্নেছা কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি হয়।
৮ মে শনিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভায় কুমিল্লা জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এবং চিকিৎসা সেবায় কর্মকান্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মোঃ মহিউদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
সভায় ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা গুলো থেকে সীমান্তের ওপার থেকে জন সাধারনের প্রবেশ নিয়ে সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।