ওবায়দুর রহমান, উপজেলা প্রতিনিধি, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সরকারের দরিদ্রদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর মাওহা ইউনিয়নে তিন ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির ও চাল আত্মসাতের তদন্ত অজ্ঞাত কারনে এক বছরেও সম্পন্ন হয়নি। এদিকে তদন্ত সম্পন্ন না করে বিতর্কিত ডিলারদের মাধ্যমে চলছে এ কর্মসূচীর চাল বিক্রি কর্মসূচী। বর্তমানে তদন্ত কমিটির ভূমিকা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
উপজেলার মাওহা ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার আজিজুল হক ইনসান, আব্দুল জব্বার ও মাসুদ করিম রুবেল মিয়া প্রায় দু’শতাধিক সুবিধাভোগীর চাল ৪ বছর ধরে আত্মসাতের মাধ্যমে কালোবাজারে বিক্রি করে আসছিলেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছর ২০ এপ্রিল ভূটিয়ারকোনা বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী ফজলু মুন্সীর ঘর থেকে ৩ হাজার ৩৫০ কেজি চাল ও আজহারুলের ঘর থেকে ১ হাজার ২৫০ কেজি চাল জব্দ করে গৌরীপুর থানার পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। এ মামলায় আজহারুলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছিলো পুলিশ।
এদিকে তালিকায় নাম থাকলেও ৪ বছর ধরে চাল না পেয়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসক বরাবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে লিখিত অভিযাগ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আবুল বাশার (এক অভিযোগপত্রে ১০৯ জন (স্বার ৯২ জনের) ও দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে ৪২ জন সুবিধাভোগী অভিযোগ করেছিলেন)। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নন্দন দেবনাথকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এক বছর অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারনে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেনি এ কমিটি। এদিকে অভিযোগ করার কারনে তাদের নাম নতুন তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নন্দন কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ডিলাররা তদন্ত কাজে সহযোগিতা ও চাহিদা মতো তথ্য না পাওয়ায় তদন্ত কাজ শেষ করা যাচ্ছে না।