আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ,সার এবং ভর্তুকিতে ব্যয়বহুল কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এছাড়া কৃষকদের মাঝে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের উন্নয়ন সহায়তা (ভর্তুকি) কার্যক্রমের আওতায় কৃষি যন্ত্র বিতরণের কার্যক্রমও উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. রেখা পারভীন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রীতম কুমার হোড়, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার বিশ্বাস, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে খরিপ-১/২০২১-২২ মৌসুমে আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পাঁচশ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে প্রতিটি ১৪ লক্ষ টাকায় দাদপুর ও চাঁদপুর গ্রামের দুই কৃষক সত্যজিৎ মুখার্জি ও টিপু সুলতানকে কম্বাইন হার্ভেস্টার; চতুল ইউনিয়নের শুকদেবনগর গ্রামের মাহফুজা বেগম, বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের চালিনগর গ্রামের আলমগীর ও ময়না ইউনিয়নের বেলজানি গ্রামের শিমুল হাসানকে প্রকৃত মূল্যের অর্ধেক ৯০ হাজার টাকায় একটি করে রিপার এবং উপজেলার অন্য দুই কৃষককে ২টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ‘এ বছর উপজেলার মোট ৫০০ জন কৃষকের মাঝে আউশ প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় একজন কৃষক প্রতি ১ বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি উফশী আউশ বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।’সূত্র জানায়, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের যন্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে কোন জমি খালি না রেখে প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল আবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শও প্রদান করা হচ্ছে।