1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন

লকডাউনে বিরক্ত বোয়ালমারীবাসী

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৬১

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ


পবিত্র রমজানের আগে লকডাউন দেয়ায় বিরক্ত বোয়ালমারীবাসী। করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার সরকারি নির্দেশ থাকলেও তা মানছে না বোয়ালমারীবাসী। দোকানের এক শাটারের অর্ধেক উঠিয়ে কিংবা দোকানের সামনে টুল নিয়ে বসে বিক্রেতারা অপেক্ষায় থাকছেন ক্রেতাদের। চলছে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান। জনসমাগমের কারণে কিছু সড়কে দেখা গেছে যানজটও।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ১০টার পর বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরের বাজার, চৌরাস্তা, স্টেশন রোড, ওয়াপদা মোড়, কাঁচাবাজারসহ সর্বত্র একই চিত্র দেখা গেছে। লকডাউনের মধ্যে পৌরশহরের এমন চিত্র দেখে লকডাউন মেনে চলা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, লকডাউন মানায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু সবাই এটা মানছেন না। অপরদিকে রমজানের আগে লকডাউন দেয়ায় ব্যবসায়ীরাও ক্ষুব্ধ। 
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সোনালী ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংকের ভিতরে প্রচণ্ড ভীড়। গ্রাহকেরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই। এ সময় টাকা জমা দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জনৈক গ্রাহক বলেন,‘ব্যাংক লেনদেনের সময়সীমা কমিয়ে দেয়ায় এত ভীড় হয়েছে। ব্যাংক লেনদেনের সময়সীমা স্বাভাবিক থাকলে এত ভীড় হতো না। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতেই করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি।’
বোয়ালমারী বাজার সদরের সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন একটি ফাস্ট ফুডের দোকান মালিক মো. লতিফ মোল্যা বলেন, ‘গত বছরের এই সময়ে দেয়া লকডাউনে চার মাসের ঘর ভাড়া ২৪ হাজার টাকা বাকি। এখনো তা পুষিয়ে নিতে পারিনি। এবার আবার কয়দিন লকডাউন চলবে কে জানে। লকডাউনে ঘরভাড়া, কর্মচারীদের বেতন দিয়ে পৌর শহরে ব্যবসা করা কষ্টকর। তাই এবার লকডাউনের শুরুতেই দোকান ছেড়ে দিলাম, মালামাল বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।’
পৌর শহরের এক চায়ের দোকানদার মো. নুরু মোল্যা বলেন, ‘চা বিক্রি করে সংসার চালাই। দোকান বন্ধ থাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করার জন্য লকডাউনের প্রথম দুই দিন শ্রমিকহাটে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু কাজ পেলাম না।’
লকডাউন দেয়ায় বিরক্ত ভ্যানচালক মোঃনাছির মন্ডল  বলেন, ‘রমজানের আগে এভাবে লকডাউন দিলে আমরা খাব কি? চালের কেজি ৬০ টাকা, সর্ষের তেলের কেজি ১৭০ টাকা। ভ্যান চালিয়ে দিন আনা দিন খাওয়া আমাদের।’
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি কামরুল সিকদার বলেন,‘সবাই লকডাউন মানছে না। এভাবে চললে লকডাউন দিয়ে সুফল পাওয়া যাবে না।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪